Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
GST Slab

GST: জিএসটির হার তিনটিতে নামাবে কেন্দ্র: কৃষ্ণমূর্তি

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার সময় মোট তিনটি করের হার থাকবে বলেই জানিয়েছিল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ০৮:৩০
Share: Save:

জিএসটি-র আওতায় এখন করের মোট পাঁচটি হার। সর্বোচ্চ ২৮%। তবে আগামী দিনে এই ছবিটা যে আরও বদলাবে, বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিত দিয়ে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, করের হারের সংখ্যা পাঁচটি থেকে তিনটিতে নামিয়ে আনাই সরকারের লক্ষ্য।

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার সময় মোট তিনটি করের হার থাকবে বলেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তার পরে চার বছর কেটে গেলেও ওই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। এমনকি পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর জন্য একাংশ জ্বালানি দু’টিকে দেশব্যাপী এই অভিন্ন পরোক্ষ করের আওতায় আনার সওয়াল করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। কেন্দ্র শুধু বিষয়টি জিএসটি পরিষদের ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে দায় সেরেছে। যে পরিষদ রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি।

এ দিন বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম আয়োজিত অনলাইন সভায় এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণমূর্তির দাবি, ‘‘করের হার যে কমানো হবে, সেটা নিশ্চিত। কেন্দ্র বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে চেষ্টা করছে।’’ তবে তেলকে জিএসটিভুক্ত করা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।

যদিও শুধু করের হার নিয়ে নয়, রিটার্ন জমা-সহ পুরো ব্যবস্থাটি নিয়েই ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। কৃষ্ণমূর্তির বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন্সের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘প্রথমে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হয়েছিল যে, জিএসটি চালু হলে করের বোঝা কমবে। দাবি করা হয়েছিল, এটি হবে একটি সহজ-সরল কর ব্যবস্থা। কিন্তু চার বছর কেটে গেলেও তার কোনওটাই হয়নি। উল্টে কর মেটানোর আইন-কানুন মানতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। রিটার্ন জমার খরচও বেড়েছে।’’

জিএসটি ব্যবস্থার জটিলতা নিয়ে বলতে গিয়ে সুশীলবাবু বলেন, এ পর্যন্ত শ’খানেক সংশোধন হয়েছে জিএসটি আইনে। অনেক কর আধিকারিকেরই ওই সব সংশোধন নিয়ে সঠিক ধারণা নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা তো নাস্তানাবুদ হবেনই।

দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্য উপদেষ্টার বার্তা, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে। এর জন্য অতি বড় মাপের ব্যাঙ্ক গঠন করা জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘আর্থিক দিক দিয়ে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। অথচ বিশ্বের প্রথম ১০০টি ব্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে শুধু ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। যেখানে ওই তালিকায় ১৮টি ব্যাঙ্ক চিনের এবং ১২টি আমেরিকার।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Centre GST Slab
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE