কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা সচিব রাজীব কুমার।
গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে লোকসানের মুখে পড়েছে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ৭,৭১৮ কোটি টাকা ক্ষতি গুনেছে স্টেট ব্যাঙ্কও। তার পরেই তড়িঘড়ি লগ্নিকারী-সহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের দুশ্চিন্তা দূর করতে মাঠে নেমেছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা সচিব রাজীব কুমারের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে পুঁজি জোগাবে সরকার। দেউলিয়া হতে দেবে না।
বস্তুত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনে বিপুল অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবের খাতা থেকে পরিষ্কার করার জন্যই আর্থিক সংস্থান বাড়াতে হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে। তাতেই ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। রাজীবের কথায়, ‘‘কোনও কিছু পরিষ্কারের (ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতা) সময় একটু ধুলো তো লাগবেই। কিছু আঘাতও আসবে।...একটি-দু’টি ত্রৈমাসিকের জন্য এই ক্ষতি মেনে নেওয়া যায়।’’ সচিবের দাবি, সব থেকে খারাপ সময় কেটে গিয়েছে। এ বার শুধু ভাল হবে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে কেন্দ্র যে পুঁজি জোগাচ্ছে তা যথেষ্ট বলেই এ দিন দাবি করেন রাজীব। তাঁর দাবি, ‘‘মোট যে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা পুঁজি জোগানোর কথা, তার মধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি বাকি আছে।’’ সংস্কারে গতি আনতে ব্যাঙ্কগুলি কী ভাবে তা কার্যকর করছে, তার ভিত্তিতে কেন্দ্র র্যাঙ্কিং চালুর পরিকল্পনা করছে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি কত ঋণ দিতে পারে সে ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট রূপরেখা রয়েছে। কিন্তু অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে চলায় এবং ব্যাঙ্কগুলি নিট ক্ষতির মুখে পড়ায় তাদের পুঁজিতে টান পড়ছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রের এই আশ্বাস তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, লোকসানের মুখে পড়লেও গত দু’দিনে ব্যাঙ্কের শেয়ারগুলির দর বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দেউলিয়া বিধিতে অনুৎপাদক সম্পদের মোকাবিলায় সম্প্রতি যে সাফল্য মিলেছে, তাতেই আশা জেগেছে লগ্নিকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy