ছবি: সংগৃহীত
প্রস্তাবিত নতুন শ্রম বিধি কার্যকর হলে যে সমস্ত সংস্থায় অন্তত ৩০০ জন কাজ করেন, সেই সংস্থা বন্ধ করতে বা কর্মী ছাঁটাই করতে সংশ্লিষ্ট সরকারের (কেন্দ্র বা রাজ্য) অনুমতি নিতে হবে। এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় কোমর বেঁধেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। আজ, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে শ্রম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ‘শিল্পে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক বিধি’ নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানাবে তারা।
এআইইউটিইউসি-র সভাপতি শঙ্কর সাহার বক্তব্য, ‘‘বর্তমান আইন অনুযায়ী, কমপক্ষে ১০০ কর্মী আছে এমন সংস্থা বন্ধ করতে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে ওই সংখ্যা ৫০। সারা দেশে বেশিরভাগ সংস্থায় কর্মী সংখ্যা ৩০০-র নীচে।’’ প্রস্তাবিত বিধির খসড়ায় শ্রমিকের সংজ্ঞাতেও আপত্তি রয়েছে ইউনিয়নগুলির। সেখানে বলা হয়েছে, সুপারভাইজার বা ম্যানেজার পদে কাজ করলে শ্রমিক হিসাবে গণ্য করা হবে না। ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও কর্মীর গায়ে ম্যানেজার বা সুপারভাইজারের তকমা লাগালেই হবে না। যদি দেখা যায় তিনি সত্যিই প্রশাসনিক কাজ করছেন, তা হলেই তাঁকে শ্রমিক শ্রেণির বাইরে রাখা যেতে পারে।’’
অশোকবাবুর দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই কর্মীকে ইউনিয়ন করা থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে গায়ে ম্যানেজার বা এগ্জ়িকিউটিভের তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অশোকবাবু দাবি করেছেন, যে সব সংস্থা বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবসা করে, তাদের অনেকেই সরবরাহের জন্য কর্মীদের ডেলিভারি এগ্জ়িকিউটিভ হিসাবে নিয়োগ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy