বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবসের অনুষ্ঠানে মোদী। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
চার বছরে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকা। আখ থেকে চিনি তৈরির সময়ে পাওয়া ইথানল পেট্রলে মেশানোর উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে কেন্দ্র তেল আমদানি খাতে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বাঁচানোকে পাখির চোখ করছে বলে দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়লে তেল আমদানির খরচ যেমন কমবে, তেমনই আয় বাড়বে চাষিদের। লাভ হবে পরিবেশেরও।’’ এই সূত্রেই ইথানল প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। বলেছেন ১২টি জৈব শোধনাগার তৈরিতে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দিন ইথানল-তিরে আসলে তিন লক্ষ্য বিঁধতে চেয়েছেন মোদী। প্রথমত, এতে পরিবেশ স্বচ্ছ হওয়ার দাবি করেছেন। যা তাঁর স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের সঙ্গে মানানসই। দ্বিতীয়ত, তেল আমদানি কম করতে হলে, চাপ কম পড়বে কোষাগারে। সহজ হবে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। তৃতীয়ত, লোকসভা ভোটের মুখে এ কথা বলে আখচাষি ও চিনিকল মালিকদের মন জিততে চেয়েছেন তিনি। বিশেষত উত্তরপ্রদেশে। সাধারণত দিল্লির তখ্তের রাস্তা যে রাজ্য হয়ে যায় বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘গন্নাভূমে’র মন জয়ে আখ কেনার ন্যূনতম মূল্য বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ইথানলে বাড়তি জোর দিলেও সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা আখচাষিদেরই। তাঁর দাবি, ২০১৩-১৪ সালে যেখানে ৩৮ কোটি লিটার ইথানল পেট্রলে মেশানো হয়েছিল, সেখানে গত অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১৪১ কোটি। বেঁচেছে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা। আগামী দিনে জৈব শোধনাগারগুলি চালু হলে, দেড় লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলেও তাঁর দাবি।
ভারতে পেট্রলে ইথানল মেশানোয় জোর দেওয়া শুরু ২০০২ সালে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায়।পরে ইউপিএ সরকারের আমলে তা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের মতে, উত্তরপ্রদেশের কথা ভেবে ফের সেই ইথানলে জোর দিতে চান মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy