বিপদ বাড়ল আবাসন নির্মাতাদের।—প্রতীকী চিত্র।
নতুন বছরে ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা রয়েছে? তাহলে সুখবর রয়েছে আপনার জন্য। এ বার থেকে নির্ধারিত সময়েই ক্রেতার হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিতে হবে আবাসন নির্মাতাদের। কোনও কারণে দেরি হলে মামলা করতে পারেন ক্রেতা। সে ক্ষেত্রে তাঁকে আইনি প্রক্রিয়ার খরচ জোগাতে বাধ্য থাকবেন নির্মাতা। সেই সঙ্গে, ফ্ল্যাটের চাবি হাতে আসা না পর্যন্ত, অগ্রিম টাকার উপর প্রতিমাসে সুদ দিতে হবে নির্মাতাকে, তাও আবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি গৃহঋণের উপর যে পরিমাণ সুদ নেয়, সেই হারে। আবাসন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন জানাল কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। খুব শীঘ্র সারা দেশেই যা কার্যকর হতে চলেছে।
হরিয়ানার পঞ্চকুলায় একটি আবাসন প্রকল্প গড়েছে রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট ডিএলএফ-এর রাজ্য শাখা। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাওয়ার কথা ছিল ক্রেতাদের। তার চার বছর আগে, ২০১০ সালের মার্চ মাসে সেই বাবদ অগ্রিম টাকা জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাননি অনেকে। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন প্রথমে রাজ্য এবং পরে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সম্প্রতি এমন নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দীনেশ সিংহ ও ডাঃ এসএম কান্তিকরের ডিভিশন বেঞ্চ।
যতদিন না ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি উঠছে, ততদিন পর্যন্ত বছরে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ‘ডিএলএফ হোমস পঞ্চকুলা প্রাইভেট লিমিটেড’-কে। সেই সঙ্গে ক্রেতাদের তরফে যে অগ্রিম টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল, তার উপর সুদও দিতে হবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আর পুরো হিসাবটাই হবে ২০১৪-র ফেব্রুয়ারি মাস থেকে, যে দিন ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই সংস্থাকে সেল ডিড-এর প্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে আবাসন নির্মাতাদের। তার খরচ অবশ্য দিতে হবে ক্রেতাদেরই। ত্রুটিপূর্ণ পরিষেবা এবং অনুচিত ব্যবহারের জন্যও ‘ডিএলএফ হোমস পঞ্চকুলা প্রাইভেট লিমিটেড’-কে জরিমানাও করা হয়েছে। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আইনি সহায়তা অ্যাকাউন্টে প্রত্যেকটি মামলায় ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে তাদের।
আরও পড়ুন: রাফাল চুক্তিতে গলদ নেই, কোনও তদন্ত নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট, স্বস্তিতে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন রাহুল, ভোট পিছনে রেখে রাফাল নিয়ে ময়দানে অমিত শাহ
এ ছাড়াও আবাসনের নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগ, জল নিকাশি সংক্রান্ত সমস্ত নকশা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আবাসন নির্মাতাদের। যাতে ভবিষ্যতে মেরামতির প্রয়োজন হলে তাদের উপর ভরসা না করতে হয় ক্রেতাদের। বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন, তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি ডিএলএফ-এর মুখপাত্র। তবে শলা পরামর্শ করে তাঁদের আইনি বিভাগ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy