প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে বেকারত্ব যখন কপালে ভাঁজ ফেলছে, তখন ভাঙড় ভেজিটেব্ল প্রডিউসার্সের দাবি, গ্রামের কাজ হারানো বিভিন্ন পেশার অনেকের ভরসা হয়ে উঠছে তারা। তাঁদের অনেকেই এখন কাজ করছেন কৃষি দফতরের উদ্যোগে চাষিদের নিয়ে তৈরি এই আনাজ সংস্থার সেল্সম্যান বা ক্যাশিয়ার হিসেবে।
কলকাতার কাছেই ভাঙড়ের আনাজের কদর বরাবরের। এখনকার পটল, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শ রফতানি হয় বিদেশে। ভাঙড় ভেজিটেব্ল প্রডিউসার্সও রফতানির পাশাপাশি কলকাতায় প্রায় ৬৫টি ‘সুফল বাংলা’ আনাজের দোকান চালায়। সল্টলেকে তা সরবরাহ করা হয় মাদার ডেয়ারিকেও। এ বার লকডাউনে শহরের প্রায় ৪০টি আবাসনে গাড়িতে করে আনাজ বিক্রি শুরু করেছেন সংস্থার সদস্যেরা। সংস্থাটির বক্তব্য, তাদের হাত ধরেই রোজগার হারানো রাজমিস্ত্রি বা কাঠের মিস্ত্রিদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন কাজের সুযোগ।
ভাঙড়ের চাষি তথা সংস্থার চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বর খানের কথায়, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাদের ব্যবসার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা (অডিটের আগে)। প্রতি বছর মুনাফাও বাড়ছে। বছর শেষে অংশীদার হিসেবে যার ভাগ পাচ্ছেন প্রায় ১৭৫০ জন সদস্য চাষি। আর এখন সেই সংস্থাই লকডাউনের বাজারে গ্রামের ছেলেদের রোজগারের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। তাঁর দাবি, পুরনো ও নতুন মিলিয়ে সংস্থায় কাজ করছেন প্রায় ১৮০ জন। এই সংখ্যা শীঘ্রই ৫০০-র ঘরে নিয়ে যেতে চান তাঁরা।
এক-দেড় বছর ধরে চলছে অর্থনীতির শ্লথ গতি। তার পরেই লকডাউনে বিপুল ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রিবাটা। তার প্রভাব পড়েছে কাজ এবং রোজগারে। এপ্রিল, মে-র তুলনায় জুনে বেকারত্বের হার কমলেও, কাজের আকাল এখনও চলছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের হাতে গড়া এই সংস্থা হাসি ফুটিয়েছে অনেক পরিবারের মুখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy