—প্রতীকী চিত্র।
বাড়তে থাকা অনুৎপাদক সম্পদের চাপে এক সময় আর্থিক সঙ্কটে ডুবেছিল কলকাতা ভিত্তিক ইউকো ব্যাঙ্ক। দীর্ঘ দিন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণে পরিষেবা কাটছাঁট করে কাটানোর পরে ঘুরে দাঁড়ায়। আর এ বার শুধু মুনাফা করাই নয়, শেয়ারহোল্ডারদের তার ভাগ দিতেও উদ্যোগী হল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি। ন’বছর পরে গত অর্থবর্ষের জন্য (২০২৩-২৪) লগ্নিকারীদের লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল তারা। ইউকো ব্যাঙ্ক জানিয়েছে তা দেওয়া হবে ২.৮০% হারে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কটির প্রতিটি শেয়ারের জন্য মিলবে ২৮ পয়সা।
চলতি অর্থবর্ষে ফের শেয়ার বিক্রি করে (ফলো অন ইসু বা এফপিও) ৪০০০ কোটি টাকা তুলতে চায় ইউকো ব্যাঙ্ক। এমডি-সিইও অশ্বায়নি কুমার বলেন, ‘‘এখন আমাদের ৯৫% অংশীদারি কেন্দ্রের হাতে। তা কমিয়ে ৭৫% করতে চাই। সে জন্যই এফপিও হবে। সরকারকেই দেওয়া হবে ওই টাকা।’’ ব্যবসা বাড়াতে দেশে, বিশেষত জেলাগুলিতে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ১৩০টি নতুন শাখা খোলার পরিকল্পনাও করেছে ইউকো। অশ্বায়নি জানান, আগামী মাস থেকে ব্যাঙ্কের নতুন শাখাগুলি খুলতে শুরু করবে। সিংহভাগই জেলায়। কোথায় খুলবে কিংবা পশ্চিমবঙ্গ তাতে থাকবে কি না, এ সব ঠিক হয়নি। বর্তমানে ইউকো ব্যাঙ্কের মোট শাখা ৩২৩০। এর ৩৫% গ্রামাঞ্চলে।
তবে গত অর্থবর্ষে ইউকো ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা তার আগের বছরের থেকে ২০৮ কোটি টাকা কমে হয়েছে ১৬৫৪ কোটি টাকা। যদিও মোট মুনাফা ৫.৪৩% বেড়ে হয়েছে ৪৫৭৬ কোটি। অশ্বায়নি দাবি করেন, ‘‘অনুৎপাদক সম্পদ খাতে ১০৬৮ কোটি টাকা সমেত মোট ২৯২২ কোটি টাকা আর্থিক সংস্থান করতে হয়েছে। ব্যাঙ্কের কর্মী-অফিসারদের বেতন সংশোধন হয়েছে। সেই সঙ্গে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি খাতেও অতিরিক্ত সংস্থান করতে হয়েছে। আর্থিক সংস্থান বাড়ানোর জেরেই নিট মুনাফা কিছুটা কমেছে।’’ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বার্তা, পরিষেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার বাড়াতে এই অর্থবর্ষে ১০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। গত আর্থিক বছরে করা হয়েছিল ৭০০ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy