এঞ্জিনিয়ারদের নিরলস প্রচেষ্টায় সোমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ডানা মেলল টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই) সেই এয়ারবাস-৩১৯। ফাইল ছবি।
আকাশে আকাশে যার উড়ে বেড়ানোর কথা, কমবেশি তিনটি বছর তাকে স্থবির হয়ে পড়ে থাকতে হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরের এক পাশে। অকেজো হয়ে। এঞ্জিনিয়ারদের নিরলস প্রচেষ্টায় সোমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ডানা মেলল টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই) সেই এয়ারবাস-৩১৯। এয়ার ইন্ডিয়া এঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস লিমিটেডের (এআইইএসএল) কলকাতার জিএম বি আঝাগাপ্পা জানান, যাত্রীদের নিয়ে যে কোনও দিন ফের নিয়মিত পরিষেবা শুরু করতে পারে বিমানটি।
প্রায় দু’দশক আগে কলকাতাকে এয়ারবাস-৩১৯ বিমানের ঘাঁটি বানিয়েছিল এআই। তার মূল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয় এখানেই। কিন্তু যন্ত্রাংশের অভাবে লোকসানে ধুঁকতে থাকা এআইয়ের এক-একটি বিমান গত কয়েক বছর ধরে বসে যেতে থাকে। রানওয়ের নিরালা প্রান্তে ঠাঁই হয় তাদের। সংস্থার কর্তাদের দাবি, শেষের দিকে এআই যখন বিক্রি হতে বসেছে, তখন এই সব বিমান নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই ছিল না কর্তৃপক্ষের।
টাটারা এআই কিনে নেওয়ার পরে বদলেছে ছবি। নতুন বিমান লিজ়ে নেওয়ার পাশাপাশি পুরনো, অকেজো বিমানগুলিকেও সক্রিয় করার নির্দেশ এসেছে এঞ্জিনিয়ারদের কাছে। এআইইএসএলের ডেপুটি জিএম কৌশিক বসু জানান, রানওয়ের পাশে প্রায় তিন বছর ধরে পড়ে ছিল সাতটি ৩১৯ বিমান। তার মধ্যে একটিকে সারানো গিয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অন্য একটিকে কোনও ভাবেই সারানো সম্ভব নয়। কৌশিক বলেন, ‘‘বাকি পাঁচটি বিমানকে একে একে ধরা হবে। যন্ত্রাংশ বা অন্য কোনও প্রয়োজনে এয়ারবাসের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করব।’’
এআই কর্তাদের দাবি, নতুন ও পুরনো বিমান মিলিয়ে রুট বাড়াতে চায় টাটারা। কলকাতা থেকে এই মুহূর্তে তিনটি ৩১৯ বিমান উড়ছে। সারাই হওয়া বিমানটি পরিষেবা শুরু করলে রুট বাড়বে। সারা দেশে উড়ছে ১১টি ৩১৯। কলকাতায় বসে থাকা বাকি পাঁচটির মধ্যে ক’টি বিমানকে সারিয়ে আকাশে ভাসানো যায়, সেটাই এখন দেখার! উল্লেখ্য, সম্প্রতি এআই আগামী এক দশকে এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের থেকে মোট ৮৪০টি বিমান কেনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। তার মধ্যে ৩৭০টি নিশ্চিত বরাত। যা গত ১৭ বছরে এই প্রথম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy