— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতের মরসুমে সাধারণত সে ভাবে ভাল চা তৈরি হয় না। সে কারণে গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে কিছু দিন বাগান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিচ্ছে টি বোর্ড। চায়ের চাহিদার তুলনায় জোগান বৃদ্ধির আশঙ্কাও এই পদক্ষেপের অন্যতম কারণ। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকে চা শিল্পের একাংশ তা আরও এগিয়ে এনে নভেম্বরের মধ্যে কার্যকর করার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগামিকাল, সোমবার বড় ও সংগঠিত ক্ষেত্রের বাগান, ক্ষুদ্র চা চাষি-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে টি বোর্ড।
চা শিল্পমহল সূত্রের বক্তব্য, শীতে সাধারণত চা গাছে ভাল পাতা আসে না। সেই সময়ে গাছের পাতা ছাঁটাই বা কারখানা রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে শীত কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ায় ডিসেম্বরেও চালু থাকত বাগানগুলি। বেশ কয়েক বছর আগে নিম্নমানের চায়ের জোগান কমাতে টি বোর্ড মাসখানেক বাগান বন্ধের নির্দেশ দেয়। এ বারে যেমন বোর্ড জানায়, গত ১১ ডিসেম্বরের পরে দার্জিলিং-সহ কয়েকটি জায়গায় আর পাতা তোলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স-তরাই ও বিহারের বাগানে সেই সময়সীমা ছিল ২৩ ডিসেম্বর।
সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, সম্প্রতি গয়ালের সঙ্গে বৈঠকে চা শিল্পের একাংশ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাগান বন্ধের প্রস্তাব দেয়। মন্ত্রীর নির্দেশে বোর্ড আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। গত শুক্রবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও দিল্লিতে মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বোর্ডের কর্তাদের বৈঠকের কারণে তা পিছিয়ে যায়।
তবে বাগান বন্ধের নতুন দিনক্ষণ স্থির করা নিয়ে চা শিল্পেই মতপার্থক্য রয়েছে বলে খবর। একাংশ তা এগিয়ে আনার পক্ষে মত দিলেও অন্য অংশের দাবি, আবহাওয়ার বদলের জেরে এখন শীত পড়তে দেরি হয়। ফলে এত আগে বাগান বন্ধ না করলেও চলে। বরং এই সময়ে চা তৈরির ক্ষেত্রে পাওয়া বর্জ্য বাড়তি পরিমাণে মেশানোর প্রবণতায় কঠোর নজরদারি জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy