১৫ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের ছবি হাতে, রোজ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আশেপাশের দোকানে, সিগন্যালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক অসহায় মা। হাত জোড় করে বলছেন একটু সাহায্যের জন্য, যাতে তাঁর ছেলেটি বেঁচে যায়। কিন্তু কেউ তাঁর কথা বিশ্বাস করছে না। প্রতি সন্ধেয় একরাশ হতাশা তিনি ফিরে যাচ্ছেন সেই হাসপাতালে, যেখানে ভর্তি আছে তাঁর ছেলে— অয়ন।
গত চার বছর ধরে অয়ন মায়লোডিসপলেসিয়া নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত। এটি এমন একটি রোগ, যার ফলে শরীরের অস্থি-মজ্জা যথেষ্ট পরিমাণে কার্যকরী রক্তকোষ তৈরি করতে পারে না। সঙ্গে অয়ন ফ্যানকনি অ্যানেমিয়াতেও আক্রান্ত, যেটি অস্থি-মজ্জার কার্যক্ষমতা নষ্ট করে।
এই পরিস্থিতিতে অয়নের মা ঝুমা একা লড়ে যাচ্ছেন তার ছেলের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। কারণ, কিছুদিন আগে ঝুমার স্বামী ঝুমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্ত্রী এবং সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। ঝুমা জানালেন, "আমরা অনেক দিন ধরে ওঁর জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু উনি ফিরে আসেননি।"
সেই মুহূর্তেই মানসিক এবং আর্থিক সমস্ত রকমভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন ঝুমা। আর সেদিন থেকেই তিনি পণ করেছিলেন যে, ছেলের যত্নের কোনওরকম ত্রুটি করবেন না। কোনও মতে একটা ছোট চাকরি যোগাড় করে, তিনি ছেলের চিকিৎসা শুরু করেন।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অয়নের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছয়, যে ওষুধগুলি পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। শরীরে প্লেটলেটের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে। শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
কাঁদতে কাঁদতে ঝুমা জানান, "কয়েক বছর আগেও আমার ছেলে ক্লাসের টপার ছিল। খেলাধুলাতেও ভাল ছিল ও। কিন্তু এখন ও প্রচণ্ড যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। আমি ওকে সান্ত্বনাটুকুও দিতে পারছি না।"
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অয়নের বাঁচার একমাত্র আশা একমাত্র বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্টই। তার জন্য প্রায় ১৯.৩৪ লক্ষ টাকা চাই। ঝুমার পক্ষে সম্ভবই নয় এত টাকার ব্যবস্থা করা।
ঝুমা রিতীমতো কান্নাভেজা গলায় জানিয়েছেন, "আমার কোনও রকম সঞ্চয় নেই। বিক্রি করার মতো কোনও কিছু নেই। আমার আত্মীয়রা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেউ আমাকে ঋণ দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত নয়। আমি জানি না, কী ভাবে এই বড় অঙ্কের টাকা যোগাড় করব। আমার ছেলেই আমার জীবন। ওকে হারালে আমার কাছে নিজের বলে আর কিছু থাকবে না।"
অয়ন জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ওকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় অস্ত্রোপচার। আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন অয়নের জন্য। যাতে ও আবার নতুন করে জীবন ফিরে পায়।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। স্পনসরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy