প্রতীকী ছবি।
আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রতি ঘটনার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্কের প্রতিটি স্নায়ুকোষের মধ্যেই ঘটে। অর্থাৎ যেকোনও ঘটনার সিগন্যাল মস্তিষ্কের কোষগুলি গ্রহণ করে। তারপর সম্মিলিত ভাব সম্পর্কিত চিন্তা করে এবং একমুখী করে সিদ্ধান্তের পথে।
যে কোনও বিদ্যা বা পদ্ধতি করায়ত্ত্ব করতে যে অভ্যাস বা সাধনার প্রয়োজন, প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্র সেই সাধনাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে----- সংকল্প সাধনা এবং প্রাণ সাধনা। একদিকে ভাব, অন্যদিকে কর্ম। যা কিছু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, অর্থাৎ যা কিছু দেখা যায়, শোনা যায়, স্পর্শ করা যায় অথবা যা কিছুর স্বাদ আস্বাদন করা যায় তার বাইরেও আমাদের মনোজগতে বিপুল প্রভাব বিস্তার করে অনুভূতি, ভাবনা.... এই অনুভূতি বা ভাবনা দেখা যায় না, শোনা যায় না, স্পর্শও করা যায় না কিন্তু এর প্রভাব সাংঘাতিক। এই ভাবনা বা অনুভূতির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে সংকল্প সাধনায়। কারণ, আমাদের সংকল্পের একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের অনুভূতি।
গত পর্বে আপনাদের জানিয়ে ছিলাম সংঘর্ষে পরিপূর্ণ জীবন থেকে সাফল্যের শিখরে আরোহনের তিনটি সূত্র:
১) বিকল্পরহিত সংকল্প
২) অখণ্ড পুরুষকার
৩) অনুশাসন
অনুশাসন নিয়ে গত পর্বে আলোচনা করেছি, আজ আলোচনা করবো সংকল্প বিষয়ে। বিকল্পরহিত সংকল্প, অর্থাৎ জীবনে সফল হতে গেলে এমন সংকল্প করতে হবে, যার কোনও বিকল্প থাকবে না। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যদি কেউ মনে করেন, তাঁকে শচীন তেণ্ডুলকরের মতো ক্রিকেটার হতে হবে, তাহলে দীর্ঘ অধ্যাবসায় এবং নিরন্তর অনুশীলনের সংকল্প নিতে হবে। এর কোনও বিকল্প হয় না। একই ভাবে কেউ যদি মনে করেন, তিনি একদিন বিশ্বসেরা সাঁতারু হবেন, অথবা সঙ্গীতজ্ঞ অথবা গবেষক অথবা ব্যবসায়ী কিংবা জ্যোতিষী, তাঁকেও ধারাবাহিক কিছু কর্ম সম্পাদনের সংকল্প নিতেই হবে। এই সংকল্প সাধনার মাধ্যমে এমনভাবে অনিয়ন্ত্রণাধীন অনুভূতি গুলি নিয়ন্ত্রণে আসে, সৃষ্টি হয় একমুখী ‘বল’ (Force)। ফলে আমাদের মানসিক অবস্থা এমন এক পর্যায়ভুক্ত হয়, যখন মনের Positive এবং Negative Force বলে আর কিছু থাকে না। অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রভাবে এমন কাণ্ড ঘটে যায় বাহ্যদৃষ্টিতে যার প্রকৃত কারণ ও ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব নয়।
পরিশ্রমের পরাকাষ্ঠা (এক্সট্রিম) ব্যতীত এই সংকল্প সাধনা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে কী করণীয় এবং কী কী বর্জনীয় তা স্থির করতে হবে, অটোমেটিক সেন্সর ব্যবহার করতে হবে। নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচক ও বিশ্লেষক হয়ে উঠতে হবে। যাদের জন্মছকে সূর্য অশুভ স্থানে, অশুভ নক্ষত্রে থাকে তাদের কাছে জীবনের স্পষ্টতা ধরা দেয় না। চন্দ্র অশুভ স্থানে এবং অশুভ নক্ষত্রে থাকলে সমস্ত অপছন্দের জিনিসগুলিই জীবনে অধিকাংশ সময়ে ঘটতে থাকে। মঙ্গল অশুভ থাকলে জীবনে ডিটারমিনেশনের অভাব ঘটে এবং অন্যকে বিশ্বাস করলে ঠকতে হয়। জন্মছকে বুধ খারাপ থাকলে, ভুল আসক্তির জন্ম হয়। অশুভ বৃহস্পতি অজ্ঞানতার সৃষ্টি করে, অশুভ শুক্র জীবনে আনন্দের যোগানে স্বল্পতা আনে। অশুভ শনি জীবন ছন্নছাড়া করে দেয়, রাহু অশুভ থাকলে, জীবনে সুরক্ষার অভাব এবং নানাবিধ আকস্মিক বিপদ ঘনিয়ে আসে। অশুভ কেতু দারিদ্র এবং অসম্পূর্ণতার সৃষ্টি করে।
বিভিন্ন দ্রব্য, ঔষধি, নৈবেদ্য ও শাস্ত্রীয় উপাচার মেনে গৃহের পূর্ব দিক সংস্কার করলে বা দূষণ মুক্ত করলে সূর্যের কু-প্রভাব কমে যায়। নতুন আইডিয়া এবং সাহায্যের হাত পাওয়া যায়, এভাবে বাস্তুর উত্তর-পশ্চিম দিক সংস্কার করলে অশুভ চন্দ্রের প্রভাব কম হতে পারে। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব অংশটি শুক্র গ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে, দক্ষিণ-পূর্বে বিভিন্ন দ্রব্য, ঔষধি, নৈবেদ্য ও শাস্ত্রীয় উপাচার মেনে সংস্কার করলে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হতে আরম্ভ করে। এভাবেই শত্রুতা, আইনত গোলযোগ, অভাব, আকস্মিক বিপদ এড়াতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব (কেতু+বৃহস্পতি) এবং দক্ষিণ-পশ্চিম (রাহু) অংশ বিভিন্ন দ্রব্য, ঔষধি, নৈবেদ্য ও শাস্ত্রীয় উপাচার মেনে সংস্কার করা যেতে পারে। তখন স্বল্প মাত্রার বা পরিবর্তনশীল প্রচ্ছন্ন ইচ্ছাই প্রকৃতির বুকে প্রগাঢ় সংকল্পের তরঙ্গ সৃষ্টি করে। এই সংকল্পের চেতনা যখন স্থির হয়, তার থেকেই সিদ্ধি আসে। এক্ষেত্রে Symbol Meditation (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে। Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy