প্রতীকী ছবি।
মর্যাদা এবং নিয়ম রক্ষা করে ইমোশনাল এক্সপিরিয়েন্স যুক্ত মেন্টাল পিলারকে জীবনের মেরুদন্ড করে সমানভাবে নিজের এবং জগতের কল্যাণ সাধনের জন্য বড় মাপের পরিকল্পনা নির্মাণ এবং তার সুচারু বাস্তবায়নের ক্ষমতাই হল অখণ্ড পুরুষকার। গত পর্বে আপনাদের জানিয়েছি, কোনও ব্যক্তির জন্মছকে যদি মঙ্গল, শুক্র এবং বৃহস্পতি এই তিনটি গ্রহ শুভ ভাবে এবং শুভ নক্ষত্রে অবস্থান করে, পুরুষকার নিয়ে সেই ব্যক্তিকে সাধারণত সমস্যায় পড়তে হয় না। এর পাশাপাশি অবশ্যই বাস্তুকে শুভ হতে হবে, এবং পঞ্চতত্ত্বের ভারসাম্য বজায় রাখাও দরকার। অখণ্ড প্রচণ্ড পুরুষকার আয়ত্ত করতে জন্মছকে শুক্রের শুভ অবস্থান, কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে আগেই আলোচনা করেছি। আজকের পর্বে আপনাদের জানাবো বৃহস্পতি ও মঙ্গলের ভূমিকা সম্পর্কে।
বৃহস্পতি
বৃহস্পতিকে বলা হয় সৌভাগ্য ও সাফল্যের গ্রহ। কোনও ব্যক্তির জন্মছকে বৃহস্পতি শুভ স্থিতিতে থাকলে সেই ব্যক্তির উপর গুরুস্থানীয় ব্যক্তির আশীর্বাদ থাকে, জাতক/জাতিকা শিক্ষাদীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করে থাকেন। এমন জাতকের জীবনে কখনও সাংঘাতিক বড় কোনও বিপর্যয় বা ভাগ্য বিড়ম্বনা সাধারণত ঘটে না। আবার বৃহস্পতির অশুভত্বের কারণে সহকর্মী বা আত্মীয় পরিজনদের কাছ থেকে আপনাকে সর্বদা উপেক্ষা এবং অবহেলা পেতে হবে। স্বভাবতই পুরুষকার তৈরিতে বৃহস্পতির মতো একটি শুভ গ্রহের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্য-মঙ্গল এবং চন্দ্র বৃহস্পতির বন্ধু, আর প্রধান তিন শত্রু রাহু-বুধ ও শুক্র। জন্মছকে শুক্র ও বৃহস্পতি যুক্ত হলে কী কী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে আগেই জানিয়েছি। তাছাড়াও বৃহস্পতি শুক্রের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে সেই ব্যক্তির প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়, জমি-বাড়ি-প্রপার্টি বিক্রি করতে গিয়ে আটকে যেতে পারে, এবং আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতি বুধের সঙ্গে যুক্ত হলে, সেই ব্যক্তির উপস্থিত বুদ্ধি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই জাতক/জাতিকা হয় ওভারস্মার্ট হতে গিয়ে নয়তো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন। যে ব্যক্তির জন্মছকে বুধ এবং বৃহস্পতি একই ঘরে অবস্থান করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই ব্যক্তি রগচটা হন, মেজাজ খারাপ হয়েই থাকে, কথায় কথায় দুর্ব্যবহার করেন, বাণী অত্যন্ত খারাপ হয়, তার কথার দোষে বার্তা নষ্ট হয়ে যায়। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেন না। অনেক সময় দেখা যায়, বৃহস্পতি এবং বুধ একই ঘরে অশুভ ভাবে থাকলে, সেই ব্যক্তি কাউকে চেক দিয়েছেন, সেই চেক বাউন্স করে গেল। কথা রাখতে না পারায়, ইগো অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সবার সঙ্গে ঝামেলা-অশান্তি লেগেই থাকে। এরা জমিয়ে ব্যবসা করতে পারেন না। জন্মছকে বুধ ও বৃহস্পতি যুক্ত থাকলে সেই জাতক/জাতিকার ফোকাস নষ্ট হয়ে যায়, এদের মন অশান্ত, এক জায়গায় বসে কাজ করতে পারেন না, এমনকি এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসতেও পারেন না।
বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় শত্রু রাহু। বৃহস্পতি যদি জন্মছকে রাহু যুক্ত হয়, সেই ব্যক্তি এমন কাজ করবে, যা আদপেও তার করার কথা নয়। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বৃহস্পতি রাহু যুক্ত হলে, বারবার চাকরি পরিবর্তন হয়, কর্মচ্যুতি হয়, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ব্যবসায় টাকা আটকে যায়, ক্লায়েন্ট টেল তৈরি হয় না, গুরুজন বা গুরুস্থানীয়রা পাশে থাকেন না, পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে। এমনকি বৃহস্পতি রাহু যুক্ত হলে পৈতৃক সম্পত্তি পেতেও সমস্যা হয়, অনেক ক্ষেত্রে পৈতৃক সম্পত্তি পেলেও জাতক/জাতিকা সেই সম্পত্তি ধরে রাখতে পারেন না। রাহু যুক্ত বৃহস্পতি পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত ডেকে আনে। এই সমস্যা জর্জর জীবনে কীভাবে আসবে পুরুষকার?
মঙ্গল
জীবনে সফল হতে গেলে, আত্মবিশ্বাস, প্রয়োজনে বিপদমুক্ত ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। অথচ জন্মছকে মঙ্গল অশুভ থাকলে আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটবে, সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে। শুভ মঙ্গল মানেই pusher in the right track (৩৬ বছর বয়স - ৪৮ বছর বয়স), এবং অশুভ মঙ্গল মানে মানুষ নিজেই প্রেসার কুকারের মধ্যে ঝাঁপ দেবে। লগ্নে মঙ্গল, অর্থাৎ জন্মছকের এক নম্বর ঘরে মঙ্গল থাকার অর্থ, sword of justice. দ্বিতীয় ঘরে মঙ্গল মানে অপরের রক্ষাকর্তা কিন্তু নিজের জন্য নয়। তৃতীয় ঘরে মঙ্গল যেন খাঁচাবন্দী সিংহ, যতক্ষণ খাঁচায় ততক্ষণই আপনি নিরাপদ। চতুর্থ ঘরে মঙ্গল মানে পরিবারই সেই ব্যক্তির কাছে সবকিছু, আর সেই পরিবার থেকেই সেই ব্যক্তিকে কষ্ট পেতে হয়। জন্মছকের পঞ্চম ঘরে মঙ্গল শুভ নক্ষত্রে অবস্থান করলে, সেই জাতক/জাতিকা বিপুল সম্পদশালী হতে পারে, আবার উল্টোদিকে পঞ্চম ঘরের অশুভ মঙ্গল একেবারে হতদরিদ্র দশায় এনে ফেলতে পারে। ষষ্ঠ ঘরে মঙ্গল মানে, আত্মবিনষ্টকারী সাধু। সপ্তমে অশুভ নক্ষত্রে মঙ্গল অবস্থান করলে, নিজের সংসার ত্যাগ করে অন্যের সংসার সামলায়, কু-নজর, বদদুয়া কুড়িয়ে বেড়ায়। অষ্টম ঘরে অশুভ নক্ষত্রে মঙ্গল অবস্থান করলে, সেই ব্যক্তি কাজের সময় অন্ধকার দেখে এবং ট্র্যাপে জড়িয়ে পড়ে। নবম ঘরের শুভ মঙ্গল রাজকীয় সম্মান প্রদান করে। দশমের মঙ্গল অতি শুভ এবং যদি শুভ শনির সঙ্গে শুভ কৌনিক দূরত্বে অবস্থান করে, মানুষকে রাজা করতে পারে। একাদশের মঙ্গল প্রথম জীবনে প্রচুর ভোগী, কিন্তু জীবনের শেষভাগে ত্যাগী/অত্যাচারিত হয়। দ্বাদশের অশুভ মঙ্গল দারিদ্র, অসম্মান, অসুখী করে।
সুতরাং প্রচণ্ড পুরুষকার লাভের জন্য লগ্ন, পঞ্চম, নবম এবং দশম গৃহের শুভ দৃষ্ট, শুভ নক্ষত্র যুক্ত মঙ্গল থাকা অত্যন্ত জরুরী। এর পাশাপাশি রয়েছে বাস্তু এবং পঞ্চতত্ত্বের ভূমিকা। যদিও বাস্তুর ছোট খাটো ত্রুটি সংশোধনে এবং তত্ত্বের ভারসাম্য রক্ষায় Symbol Meditation (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে। *Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করতে পারেন WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy