“কামং ক্রোধং তথা লোভং স্বাদং শৃঙ্গারকৌতুকে। অতিনিদ্রহতি সেবেচ বিদ্যার্থী হ্যষ্ট বর্জয়েৎ।”- চাণক্য

শিক্ষার্থীর কাম, ক্রোধ, লোভ, স্বাদ, শৃঙ্গার, কৌতুক (বিনোদন), অতিনিদ্রা এবং অতিসেবা/ভোজন-এই আটটি বিষয় থেকে দূরে থাকা উচিত। না হলে সে সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না। চাণক্য বলেছেন শিক্ষাগ্রহণের সময় ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। এরূপ শিক্ষাই পরবর্তীতে ব্যক্তির অর্থোপার্জন এবং জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হয়ে উঠবে। এই সময়েই সন্তানের চরিত্র গঠনের দিকে আমাদের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। কিভাবে নজর দেবেন? উপরিউক্ত শ্লোকে চাণক্য, একজন বিদ্যার্থীর উপযুক্ত কর্তব্য বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। শিক্ষাগ্রহণ কালে আটটি বিষয় থেকে বিদ্যার্থীদের দূরে থাকার বিষয়ে সচেতন করেছেন তিনি। কারণ কাম, ক্রোধ, লোভ, স্বাদ, শৃঙ্গার, কৌতুক, অতিনিদ্রা এবং অতিসেবা/ভোজন এই আটটি বিষয় বিদ্যার্থীকে ইন্দ্রিয়াসক্ত করে তোলে। শিক্ষার্থীর মনে যেন কামের উদ্রেক না হয়, কামের উদ্রেক হলে তার মন চঞ্চল হবে, সে তখন আর অধ্যয়নের দিকে নজর দিতে পারবে না। মনে ক্রোধ জন্ম নিলে সে ঠিকমতো বিদ্যাভ্যাস করতে পারবে না। কোনো বিষয়ের প্রতি অতিরিক্ত লোভ তাকে স্বকর্ম থেকে বিচ্যুত করবে। সুস্বাদু আহার গ্রহণ করলে সে আরও বেশি লোভী হবে। কাজেই তখন তাকে পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। শৃঙ্গারে মনোনিবেশ করলেও তার চারিত্রিক অবনতি ঘটবে। মানসিক ধৈর্য নষ্ট হয়ে যাবে। অতিরিক্ত কৌতুক (বিনোদন) তার চরিত্রের দৃঢ়তা নষ্ট করবে। অতিনিদ্রা তাকে বিলাসী করে তুলবে। অধিকসেবা/ভোজন করলে তার স্বাস্থ্যের অপকার হবে। তাই চাণক্যের অভিমত, একজন বিদ্যার্থী যেন সম্পূর্ণ ব্রহ্মচর্যযুক্ত জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে।

বাস্তু-সংখ্যা-গ্রহ-তারার ভূমিকা

সাধারণত বাস্তুর দক্ষিণ-পশ্চিম দিক এবং উত্তর-পশ্চিম দিক বিদ্যার্থীর অধ্যয়নের জন্য সঠিক স্থান নয়। বিদ্যার্থী যদি এই দুটি স্থানে অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করে তাহলে কাম, ক্রোধ, লোভ, স্বাদ, শৃঙ্গার, কৌতুক, অতিনিদ্রা প্রভৃতির প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়। আবার, বাসগৃহের দক্ষিণ-পশ্চিমের কাছাকাছি ব্যালকনি, টয়লেট, সবুজ রঙের উপস্থিতি, কাটিং, এক্সটেনশন, স্টোরেজ, ডাস্টবিন থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদ্যার্থীর পঠনপাঠনে বাধা তৈরি হয় এবং সেই পড়ুয়া বাবা-মা তথা গুরুজনদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাস্তুর উত্তর-পূর্ব অংশেও যদি প্রায় একই ধরণের ভুল নির্মাণ বা দূষণ (ব্যালকনি, টয়লেট, সবুজ, কমলা, গোলাপি, ধূসর রঙের উপস্থিতি, কাটিং, স্টোরেজ, ডাস্টবিন) থাকে সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের জীবনে অজানা দুর্ভাগ্য নেমে আসে। পূর্বদিকের বাস্তুদোষ শিক্ষাগুরুর সঙ্গে অশান্তি, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে। উত্তর-পূর্ব থেকে পূর্বদিকের মধ্যে রান্নাঘর পড়ুয়াদের ক্রোধ বাড়িয়ে দেয় এবং গৃহে অশান্তির সৃষ্টি করে। তবে বাস্তুর এই তথ্য একেবারেই প্রাথমিক স্তরের। পড়ুয়ার নিজস্ব জন্মবৃন্তান্ত অনুসারে এই তথ্যের কিছু তারতম্য হতে পারে। যেমন, ইংরাজি মতে পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখে ২, ৬, ৮ অথবা ৩, ৭, ৮ সংখ্যার শুভ উপস্থিতি যত নিখুঁত হবে, অধ্যয়নে সাফল্য তত বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে ইংরাজি সম্পূর্ণ জন্মতারিখে ৮, ৮ বা ৩, ৩ অথবা ৭, ৭ প্রফেশনাল শিক্ষার সাফল্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিও শেষ বিচার নয়। রাশিচক্র অনুসারে লগ্নের + চতুর্থস্থানের + পঞ্চমস্থানের + নবমস্থানের গ্রহ-তারার শুভ অবস্থানে বিদ্যার্থী সহজেই উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে। এই বিষয়গুলিই নির্ধারণ করে আজকের বিদ্যার্থী, আগামীর মহিরুহে পরিণত হবে কিনা, বা তাঁর কীর্তি সর্বজন বিদিত হবে কিনা।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক কঠিন সময়ে প্রতি মুহূর্তে একজন পড়ুয়াকে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হয়, ধরে রাখতে হয় মানসিক স্থিতি, প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়। যেখানে সফল হওয়া সাপ-সিঁড়ি খেলার চাইতেও অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ, শিক্ষালাভের পরও পেশাগত সাফল্য আরও কঠিন সেখানে কেরিয়ারে উন্নতির জন্য Symbol Meditation (নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) বড় সহায়ক বন্ধু হতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র পড়ুয়াদের উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণে কিভাবে সাপোর্ট করতে পারে তা জানতে পরবর্তী পর্বগুলি পড়তে থাকুন।

Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।