আলোচনায় শ্রী মণি ভাস্কর
কথায় বলে ঘুম ভাল যার, দিন ভাল তার। সুন্দর জীবনের জন্য ঘুম যে কতটা জরুরি, সে ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতেই ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুক্রবার বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় ঘুম দিবস। তবে আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বলছে, শুধু ঘুম নয়, আমাদের প্রয়োজন 'ভাল' ঘুম। এমন আরামদায়ক ঘুম, যা আমাদের সমস্ত মানসিক চাপ দূর করে চরম প্রশান্তি এনে দেবে, রাতের শেষে একটা দুর্দান্ত সকাল উপহার দেবে। যে দিনগুলি আমরা শুরু করি মানসিক অশান্তি বা ক্লান্তি নিয়ে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন ঠিক তার আগের রাতগুলিতে আমাদের ঘুম ভাল হয় না। হয়ত আপনি ৮ ঘন্টা ঘুমিয়েছেন, তা সত্ত্বেও ক্লান্তি কাটেনি, মেজাজ বিগড়ে রয়েছে, অর্থাৎ এখানে কত ঘন্টা ঘুমাচ্ছি তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিশ্রাম বা প্রশান্তির মাত্রা। যে সময়টুকু আমরা ঘুমাচ্ছি সেই সময় আমাদের দেহ-মন-পঞ্চকোষ পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছে কিনা, এটাই এক্ষেত্রে বিবেচ্য। এবার আপনার মনে হবে, প্রত্যেকটি দিনের সূচনা তো ক্লান্তিকর হয় না, এমন দিনও তো আসে একেবারে ফুরফুরে একটি সকাল দিয়ে শুরু হওয়া দিনটিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝামেলা-অশান্তিপূর্ণ একটি দিনে পরিণত হয়, আমরা মানসিক শান্তি হারাতে থাকি। কেন এমনটা হয়? আমরা কোথায় ঘুমাবো? কতক্ষণ ঘুমাবো? প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে আমাদের বাস্তুতে। কারণ আমরা অনেকেই জানি না, শুধু কাজের জন্য নয় ভুল জায়গায় ঘুমানোর জন্যও আমাদের মধ্যে স্ট্রেস তৈরি হয়। সারাদিনে আমরা যাই করি, ছবি আঁকি, সাঁতার কাটি, গান গাই বা হাঁটা-হাঁটি করি সবটাই মসৃণ গতিতে তখনই এগোতে পারে, যখন দিনের শুরুটা ভাল হয়। নির্বিঘ্ন শান্তির ঘুম শুধু স্বাস্থ্যকর স্লিপ প্যাটার্ন নয়, স্থিতিশীল সমৃদ্ধ জীবনের জন্যও প্রয়োজন।
আমাদের দেহ-মন-প্রাণ শরীর চায় দিনের শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রশান্তি, স্বস্তি যা আমাদের দিনভরের স্ট্রেস, টেনশন, অ্যাংজাইটি সরিয়ে দেবে। খারাপ ঘুম হল সেই অমোঘ প্রশ্ন, যা জানতে চায় 'জীবনে স্বস্তি নেই কেন?' অনেকক্ষেত্রেই এই অস্বস্তির উত্তর হল 'ভাল' ঘুম। কোনও কারণ নেই, অথচ ঘুম থেকে উঠেই আপনার মনে হচ্ছে, অত্যন্ত বিরক্তিকর একটি দিন এবং এমনটা বছরে অন্তত ৬-৭ বার ঘটছে সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনার বেডরুম এর জন্য দায়ী হতে পারে। এবং এই বেডরুমের জন্য কেরিয়ারের উন্নতি, ইনটেনসিটি, ব্যালেন্স নষ্ট হতে পারে। সংক্ষেপে জানিয়ে রাখি, বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে এক্সটেনশন বা কাটা, উত্তর-পূর্ব অংশে কাটা থাকলে এবং এই দুটি স্থানে সবুজ রং, লাল রঙের কোনও শেড থাকলে সেই বাড়িতে বসবাসকারীদের ঘুমের ব্যাঘাত হয়, জীবনের ইনটেনসিটি অনেক কমে যায় এবং তাঁরা কোনও না কোনও কারণে স্ট্রেসফুল জীবন কাটান, নানারকম ঝঞ্ঝাট, আকস্মিকতা তাঁদের ঘিরে ধরে। সুতরাং বাড়িতে আপনি কোথায় ঘুমাচ্ছেন, বাড়ির বিশেষ বিশেষ অংশের রং এবং অবশ্যই বেডরুমের রং আমাদের স্লিপ প্যাটার্ন, ওয়েলনেসের অন্যতম কারণ। বেডরুমের অবস্থান এবং রং অনেকাংশে স্থির করে আমাদের জীবনে আনন্দ-বিনোদনের মাত্রা। এর সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে আমাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখের সংখ্যাগুলিকেও।
আগের পর্বে জানিয়েছি, নিউমেরোলজি অনুসারে ১ মানে স্বচ্ছতা/ঔজ্জ্বল্য, ২ মানে পছন্দ, ৩ মানে নিশ্চয়তা, ৪ মানে সংলগ্ন/সম্বন্ধ, ৫ মানে বুদ্ধি, ৬ মানে পর্যাপ্ত যোগান, ৭ মানে ন্যায়, নিরীক্ষণ, ৮ মানে নিরাপত্তা, ৯ মানে অধিকার বা তাতে সুস্থিতি। যাঁদের জন্মতারিখে ১ সংখ্যাটি নেই তাঁরা যদি উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘরে ঘুমান, তাঁদের চিন্তায় অস্বচ্ছতা এবং সম্মানহানি ঘটতে পারে। ২ সংখ্যা না থাকলে, তাঁরা যদি পূর্বের ঘরে বা দক্ষিণ-পূর্বের ঘরে ঘুমান দেখা যায় তাঁদের পছন্দের তালিকায় অধিকাংশ প্রয়োজনীয়তাগুলিতেই টিক পড়ছে না। জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটছে যা অপছন্দের। যাঁদের জন্মতারিখে ৩ সংখ্যাটি নেই, তাঁরা পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘুমালে স্থায়িত্ত্ব, নিশ্চিন্ততায় বাধা আসতে পারে। ৪ সংখ্যাটি না থাকলে সেই ব্যক্তির বেডরুম যদি বাড়ির পূর্বে বা উত্তর-পূর্বে হয়, তবে সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে। ৫ সংখ্যা নেই যাঁদের, লক্ষ্য করে দেখুন, যদি বাড়ির দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বে আপনার বেডরুম হয়, আপনার মগজাস্ত্রের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার হচ্ছে না, বুদ্ধি সঠিকভাবে কাজে লাগছে না, ভুল পদক্ষেপ হচ্ছে। ৬ সংখ্যা না থাকলে এবং বাড়ির উত্তর বা দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘুমালে দেখা যায় প্রত্যেকটি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অভাব ঘটছে। জন্মতারিখে ৭ সংখ্যাটি নেই এবং আপনি বাড়ির পূর্বে বা দক্ষিণ-পূর্বে ঘুমাচ্ছেন, তা হলে যাদের বিশ্বাস করেন সেখান থেকে ন্যায় পান না, পরিস্থিতি নিরীক্ষণে নেতিবাচকতা তৈরি হয়। ৮ সংখ্যা না থাকলে এবং বাড়ির বেডরুম উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্বে হলে নিরাপত্তার অভাব ঘটে, টেনশন তৈরি হয়। যাঁদের ৯ সংখ্যা নেই তাঁরা উত্তর বা উত্তর-পূর্ব অংশে ঘুমালে তাঁদের অধিকারে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে। (এটি নিউমেরোলজির একটি প্রাথমিক সূত্র)
বাড়ির কোন অংশে ঘুমাচ্ছেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ বেডরুমের রং। বেডরুমের ভুল রং জীবনে ঝামেলা, ঝঞ্ঝাট, অশান্তি বাড়ায়। স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি, কনফিউশন তৈরি করে। আগের পর্বে উল্লেখ করেছি, মানুষের মূলত ১৬ ধরনের মন বা মাইন্ড আছে। এর মধ্যে ৯ ধরনের মাইন্ড সন্তোষজনক, যেমন এফিসিয়েন্ট মাইন্ড, ওয়াইজ মাইন্ড, কেয়ারিং মাইন্ড ইত্যাদি। বাকি ৭ ধরনের মাইন্ড ভোগান্তিকর। যেমন রিফিউজিং মাইন্ড, স্ট্রেসড মাইন্ড, আপসেট মাইন্ড ইত্যাদি। জন্মতারিখের বিভিন্ন সংখ্যার আধিক্য বা অনুপস্থিতি, বাস্তুর ভুল স্থানে বেডরুম, ঘরের নেতিবাচক রং মানুষের মনকে আরও বিক্ষিপ্ত ও কষ্টকর করে তোলে। এই প্রতিকূল মানসিক স্থিতি এবং সমস্যাযুক্ত বাস্তুর ক্ষেত্রে স্বস্তির অন্যতম মাধ্যম হতে পারে সঠিক Guided Symbol Meditation.
এভাবে জন্মতারিখের বিভিন্ন সংখ্যার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বেডরুমের ছোট-খাটো পরিবর্তন আমাদের স্লিপ প্যাটার্ন উন্নত করতে পারে। জীবনের স্থিতিশীলতা, ভারসাম্য, স্বচ্ছ-স্পষ্ট অন্তর্দৃষ্টি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমাদের ঘুমের। অপর্যাপ্ত-ক্লান্তিকর ঘুম শরীরে তো বটেই আমাদের মনোজগতেও নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মনশরীর। গবেষণায় প্রমাণিত, সঠিক Meditation এই বিক্ষিপ্ত-নেতিবাচক মনোবৃত্তি স্তিমিত করতে পারে। মনের চাপ, অতিরিক্ত চিন্তা কমিয়ে নির্মল প্রশান্তি আনতে পারে যথাযুক্ত Symbol Meditation.
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp করুন - 86173 72545/98306 83986 (Payable & Non-Refundable)
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy