‘শ্রীচরনেষু মা’
মাতৃ দিবস উপলক্ষ্যে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স ১২ মে রবিবার, কলকাতার 'আলোর দিশা' ও আগরতলায় 'সান্ধ্যনীড়'-এ ‘শ্রীচরণেষু মা’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। ‘শ্রীচরণেষু মা‘, আসলে বিশেষ ভাবে মাতৃ দিবস উদ্যাপনের এক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে সেই সব মা-কে, যাঁরা জানেন না মাতৃত্ব আদতে কী। এটি এমন এক উদ্যোগ, যেখানে সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে মা-কে সম্মান জানিয়ে তাঁদের চরণে হাত দিয়ে প্রণাম জানানোর মতো ঐতিহ্যকেও বজায় রাখা হয়েছে।
এই বছরের উদ্যাপনটি মায়েদের থাকার জায়গা কলকাতার ‘আলোর দিশা’ ও আগরতলায় ‘সান্ধ্যনীড়’-এ আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানটি সেই সব মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে, যাঁরা এখন জীবনের সায়াহ্নে এসে পৌছেছেন এবং যাঁদের এই সময়ে অনেকটা ভালবাসা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। তাই এই দিনটি তাঁদের জন্য অনেক ভালবাসা, উপহার ও আনন্দ দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছিল। খ্যাতনামা কীর্তন গায়করাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই বিশেষ দিন উপলক্ষে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধ মায়েদের কল্যাণের জন্য ‘আলোর দিশা’ ও ‘সান্ধ্যনীড়’ সংস্থার হাতে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। এ দিন মায়েদের মুখে যে দীপ্তি ফুটে উঠেছিল, তাঁদের মন ও হৃদয়ের সমস্ত আনন্দকে তা প্রতিফলিত করছিল।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, “মাতৃ ঋণ কখনই শোধ করা যায় না, কিন্তু স্বীকার করা যায়। ‘শ্রীচরণেষু মা’ সেই ঋণ স্বীকারের এক প্রচেষ্টা। একই সঙ্গে আমরা জুয়েলারি শোরুমের চার দেওয়ালের বাইরে এমন কিছু করার চেষ্টা করি, যাতে তা সমাজের কাজে আসতে পারে। সামাজিক কোনও কাজে যখনই কোনও দরকার পড়েছে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “কলকাতার ‘আলোর দিশা’ ও আগরতলায় ‘সান্ধ্যনীড়’—এ ‘শ্রীচরণেষু মা’ উদ্যাপন করতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। কারণ এই উদ্যাপন মায়েদের মুখে যে হাসি ও দীপ্তি ফুটিয়ে তুলেছে, তার চেয়ে এই পৃথিবীতে আর মূল্যবান কিছু নেই।”
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর আর এক ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, “মায়েরা আমাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসেন। মা সব সময়ে আমাদের পাশে থাকেন। মায়ের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের দায়িত্ব। বিশেষ করে এমন বয়সে, যখন তিনি নিজেকে সামলাতে পারেন না। ‘শ্রীচরণেষু মা’ সে দিক থেকে দেখলে এমনই এক পদক্ষেপ যা সেই মায়েদের মুখে এক রৌদ্রোজ্জ্বল হাসি ফোটাতে পারে, যাঁরা এখন জীবন সায়াহ্নে এসে পৌঁছেছেন।”
এ দিনের কর্মসূচি একসঙ্গে সবাই মিলে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়, যা এক মিষ্টি সুরের রেশ ছেড়ে যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy