জ্যোতিষী দেবলীনা চট্টোপাধ্যায়
জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে কমবেশি আমাদের সকলেরই কৌতূহল রয়েছে। জীবনের বাঁকে কোনও কোনও সময় মনে হয় জীবন থমকে গিয়েছে, সমস্যায় ভরে উঠেছে, দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ঠিক তখনই আমরা ভাগ্য ফেরাতে জ্যোতিষীদের শরণাপন্ন হই। নিজ জ্ঞানে আমাদের প্রতিকারের নানান উপায় জানান তাঁরা। মানুষের ভাগ্য ফেরাতে সেই পথেই হেঁটেছেন দেবলীণা চট্টোপাধ্যায় , একজন প্রখ্যাত জ্যোতিষী।
পড়াশুনা শেষ করে ২০১৯ সালে জ্যোতিষচর্চা শুরু করেন দেবলীণা। প্রাথমিকভাবে সংখ্যাটা কিছুটা কম হলেও ধীরে ধীরে মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বাড়তে থাকে। নিজ কর্মগুণেই পরিচিতি পান দেবলীণা। তাঁর জ্যোতিষশাস্ত্রীয় পরামর্শ বহু মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ধীরে ধীরে প্রশস্ত হতে থাকে উত্তরণের যাত্রা পথ।
শুধুমাত্র জ্যোতিষী নন, দেবলীণা একজন ‘ক্রিস্টাল হিলার’ও বটে। অর্থাৎ ক্রিস্টালের মাধ্যমে নিরাময়ের খোঁজ দেন গ্রাহকদের। তাঁর মতে, কখনও ক্রিস্টালের তৈরি ব্রেসলেট, কখনও বা ছোট্ট মূর্তি, কিংবা গাছের আকারে বানানো ছোট্ট শো-পিস, লকেট ইত্যাদি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তাঁর একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে যেখানে ৯০ হাজারেরও বেশি ভক্ত রয়েছে। দেশ পেরিয়ে বিদেশেও গ্রাহক রয়েছে তাঁর।
প্রায়শই বিভিন্ন প্রদর্শনীর আয়োজন করেন দেবলীণা। যেখানে বহু মানুষের নানা ধরনের সমস্যা প্রতিকারের পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর এই ক্রিস্টালের চর্চা এখন লোকের মুখে মুখে। এছাড়াও ফেসবুকে বিভিন্ন পরামর্শমূলক ভিডিয়োর পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করে থাকেন বিনামূল্যে। তাঁর বিশ্বাস, যাঁরা তাঁর প্রদর্শনী পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন না তাঁরা যাতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সেই দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
জ্যোতিষশাস্ত্রের দুনিয়ায় সাধারণত পুরুষদের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। তবে দেবলীণা কিন্তু এই ধারণা কার্যত ভেঙে দিয়ে উদাহরণ হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে। বিশেষত ক্রিস্টালের মাধ্যমে নিরাময় এই বিষয়টি বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে গ্রাহকদের কাছে। সম্প্রতি তিনি এক ধরনের পেন দিয়ে নিরাময়ের কাজ করছেন। যার নাম ‘কৃষ্ণ ক্রিস্টাল’। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে সুফল মিলবে এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি। গ্রাহকদের মধ্যে এই কৃষ্ণ ক্রিস্টালের চাহিদা বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। তাঁর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে বহু মানুষের জীবনের মান উন্নত হয়েছে।
তাঁর এই পেশাই তাঁর কাছে অন্যতম ভাললাগার জায়গা। দেবলীনা জানালেন, “আমি সব সময় চেষ্টা করি প্রতিকারের মাধ্যমে যতটা সম্ভব মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলা যায়। আজকাল এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেদের ভাল থাকাটা ভীষণ জরুরি। সেটাই যাতে সকলে সাবলীল ভাবে করে উঠতে পারেন সেই চেষ্টাই করে চলেছি প্রতিনিয়ত।” এছাড়াও ক্রিস্টাল ব্যবহারকারীদের রিভিউ অনুযায়ী সেগুলিকে আরও উন্নত করে তোলার কাজ সব সময় জারি রেখেছেন তিনি।
নিজের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ়তা এবং লক্ষ্যপূরণের আত্মবিশ্বাসের কারণেই আজ তিনি সফল। তাঁর প্রতিকারমূলক পরামর্শের কারণে বহু মানুষ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। নিজের কাজের দক্ষতাই তাঁর একমাত্র পরিচয়। সমাজের নারীদের কাছে তাই তিনি হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা। নিজের লক্ষ্যের সঙ্গে কোনও রকম আপস নয় বরং লক্ষ্য স্থির রেখে পরিশ্রম ও ধারাবাহিকতার মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন তিনি। আর তাই তিনি আজ ‘সর্বজয়া’।
এই প্রতিবেদনটি 'উই মেক আস' -এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy