বিটিএম-এর চৈত্র কার্নিভালের প্রস্তুতি
চৈত্র মানেই কেনাকাটার মরশুম। চৈত্র মানেই খোঁজ শুরু কোথায় কী অফার চলছে। বছরের এই সময়টায় নিয়ম করে প্রত্যেক বাঙালি কেনাকাটায় সামিল হন। কারণটা এক দিকে যেমন সেল, অন্য দিকে পয়লা বৈশাখে নতুন করে সেজে ওঠার ছুতো। এই সময়টায় প্রত্যেকেই বছরের পুরনো রেশ কাটিয়ে এক নতুন আবহে মেতে উঠতে চান। কিন্তু সেলের খোঁজ পাওয়া যায় কোথায়? কোন বাজারে চলছে চৈত্র সেল? বিগত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় অনলাইন সেলিং ফেসবুক গ্রুপ বিটিএম এই সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলির ফ্যাশনপ্রেমী, সেলসন্ধানী মানুষের চৈত্রের কেনাকাটার প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে বিটিএম-এর অফলাইন প্রদর্শনী — বিটিএম চৈত্র কার্নিভাল। প্রতি বছর বিটিএম গ্রুপের নামী অনলাইন সেলাররা সেখানে হাজির হন তাঁদের হরেক রকম পসরা নিয়ে। চলতি বছর সেই চৈত্র কার্নিভাল হতে চলেছে ৬-৮ এপ্রিল, রাজভবনের বিপরীতে, কলকাতা রেঞ্জার্স ক্লাব ব্যাঙ্কোয়েটে।
অনলাইন বিক্রির বাজারে বাংলায় কার্যত বিপ্লব এনেছে বিটিএম ফেসবুক গ্রুপ। প্রসঙ্গত, এটিই পশ্চিমবঙ্গের প্রথম অনলাইন সেলিং ফেসবুক গ্রুপ। এই গ্রুপের শুরু হয় বিটিএম-এর অ্যাডমিন পারমিতা ঘোষের হাত ধরে। বলা বাহুল্য, ৫ বছর আগে শুরু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে মহীরুহতে পরিণত হয়েছে। আজ বিটিএম গ্রুপের মোট সদস্য সংখ্যা সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি। আর সেই কারণেই অতিমারি পরবর্তী সময়ে চারিদিকে এত প্রদর্শনী চলা সত্ত্বেও বিটিএম-এর আয়োজিত এই প্রদর্শনী জনপ্রিয়তার নিরিখে এবং বৈচিত্রে একটি স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করেছে। এই বছর প্রদর্শনীর অনলাইন পার্টনার হিসেবে সঙ্গে থাকছে আনন্দবাজার অনলাইন।
ঠিক কেন এই প্রদর্শনীর আয়োজন? উত্তরে বিটিএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা তথা অ্যাডমিন পারমিতা ঘোষ জানাচ্ছেন, “বছরের প্রতিদিনই বিটিএম ফেসবুক গ্রুপে অনলাইনেই বিক্রি করেন বিক্রেতারা। পোশাক সহ নানা ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হয় সব সময়েই। তবুও আমাদের অফলাইন প্রদর্শনীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকে সর্বদাই। এর কারণ হল বিটিএম গ্রুপের সুনাম, ঐতিহ্য এবং তার সঙ্গে জনপ্রিয় সেলারদের সামনে থেকে দেখা করা তো রয়েছেই।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালে যখন সমস্ত অনলাইন সেলারদের এক সঙ্গে জড়ো করে চৈত্র কার্নিভাল শুরু করি তখন প্রথম থেকেই একটা জিনিস আমরা অনুসরণ করেছিলাম। এবং তা হল বিশ্বস্ততা। যেখানে ক্রেতারা চোখ বন্ধ করে সস্তায় কেনাকাটি করতে পারবেন। তাই আজ বড় বড় প্রদর্শনীর মধ্যেও বিটিএম-এর প্রদর্শনীর জন্য বছরভর অপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ। আর একই রকমভাবে সেলাররাও এই কার্নিভালের অপেক্ষা করে থাকেন তাদের পশরা দেখানোর জন্য । আমরা যেমন ক্রেতাদের প্রতি দায়বদ্ধ, ঠিক তেমনই বিক্রেতাদের প্রতিও সমানভাবে দায়বদ্ধ। তাঁদের লাভসমেত পুঁজির টাকাটা ফেরত দেওয়াও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর সেই কারণেই প্রত্যেকে চায় আমাদের এই প্রদর্শনীতে সামিল হতে।"
এ বারের চৈত্র কার্নিভালেও থাকছে নানান বৈচিত্রের সম্ভার। মহিলাদের পোশাক আশাক থেকে শুরু করে গিফট আইটেম, জুয়েলারি থেকে কিডস কালেকশন , মেনস কালেকশন এমন কি থাকছে ক্রেতাদের জন্যও নতুন উদ্ভাবন — বিটিএম ক্যাশ। যদিও এই ব্যপারে এখনই মুখ খুলতে নারাজ পারমিতা। তাঁর মতে, এই বিটিএম ক্যাশ ক্রেতাদের জন্য আমাদের উপহার। তাঁদের জন্য থাকছে বিরাট ক্যাশব্যাকের সুযোগ। বাকিটা জানতে অবশ্যই আসুন বিটিএম চৈত্র কার্নিভালে।
এই প্রতিবেদনটি ‘বিটিএম’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy