E-Paper

সাহিত্যের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের দক্ষতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে ‘এনএসএইচএম’-এ অনুষ্ঠিত হল তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন

এই সম্মেলনে মূলত আলোচিত হয়েছে যে, সাহিত্য কী ভাবে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ দক্ষতা, অভিযোজন ক্ষমতা এবং সাংস্কৃতিক সচেতনতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

চিত্র: সংগৃহীত

চিত্র: সংগৃহীত

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১১:১৬
Share
Save

কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ‘এনএসএইচএম’-এর নতুন উদ্যোগ। ‘এনএসএইচএম ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টার’-এ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হল তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, একুশ শতকে দাঁড়িয়ে সাহিত্য কী ভাবে আধুনিক কর্মজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বহু শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে গবেষক, শিল্পপতি এবং অনেক শিক্ষার্থীরাও।

সম্মেলনের মূল লক্ষ্য

এই সম্মেলনে মূলত আলোচিত হয়েছে যে, সাহিত্য কী ভাবে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ দক্ষতা, অভিযোজন ক্ষমতা এবং সাংস্কৃতিক সচেতনতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়ক। বর্তমানে যে কোনও আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক কর্মসংস্থানের জন্য এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি এবং বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এই আলোচনা সভার প্রথম বক্তা ছিলেন ‘অমর চিত্রকথা’র নির্বাহী সম্পাদক শ্রীমতী রীনা পুরী, যিনি গল্প বলার ক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।

অন্যান্য বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নন্দিনী সাহু, ‘সিআইইএফএল হায়দ্রাবাদ’-এর ভূতপূর্ব উপচার্য ভি. গণেশন, ‘ইএলটিএআই ইন্ডিয়া’র জাতীয় আহ্বায়ক জে. মাঙ্গায়ারকারাসি, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনিন্দ্য শ্যাম চৌধুরী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীলাদ্রি রঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং ‘ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিস’-এর ডিরেক্টর স্বাতী গুহ।

সাহিত্যকেন্দ্রিক আলোচনা ছাড়াও এই সম্মেলনে ‘ডিজিটাল স্টোরি টেলিং’, নেতৃত্ব গঠনে সাহিত্যের ভূমিকা এবং ‘এআই’ চালিত কর্মসংস্থানে মানববিদ্যার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। যেখানে ‘গ্রাফিক নভেল’, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং ভাষা অধ্যয়নে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ নিয়েও বিভিন্ন ধরনের বিষয় আলোচিত হয়।

এই সম্মেলনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনার উদ্বোধন, ‘এনজেএলএলসি’ এবং ‘এক্সপ্রেশনজ’। ‘এনজেএলএলসি’ একটি বার্ষিক জার্নাল। যা, গবেষণা প্রবন্ধ এবং বিশ্লেষণধর্মী লেখা নিয়ে তৈরি। পাশাপাশি ‘এক্সপ্রেশনজ’ হল

‘এনএসএইচএম’-এর শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজের একটি সংকলন, যা কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে সাহায্য করে।

কর্মশালা ও নেটওয়ার্কিং

সাহিত্যকে পেশাগত জীবনে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে নানা কর্মশালা ও আলোচনার আয়োজন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিল।

সম্মেলনের শেষে ‘এনএসএইচএম সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন’-এর বিভাগীয় প্রধান সৌজন্যা পুড়ি অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং সাহিত্যের মাধ্যমে কর্মজীবনের প্রস্তুতির গুরুত্বকেও তুলে ধরেছেন। এ ছাড়াও তিনি বলেন, “এই সম্মেলন সাহিত্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছেন যা উদ্ভাবনী এবং আবেগগত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাদের ভবিষ্যতে এগোতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য তৈরি করে।”

এই ধরনের সফল সম্মেলন প্রমাণ করে যে, সাহিত্য শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং কর্মজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষার ক্ষেত্রও বটে।

এই প্রতিবেদনটি ‘এনএসএইচএম’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

Education 3rd International Conference NSHM Centre for Language and Communication

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}