প্রতীকী ছবি।
যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামাতে ইসলামির শীর্ষ নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদির আমৃত্যু কারাবাসের সাজাই বহাল রাখল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সরকার পক্ষ তাঁর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছিল। পাশাপাশি বেকসুর খালাস দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন সাইদির পুত্র। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিন্হার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার দু’টি আবেদনই খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে।
এ দিন আপিল আদালত জানিয়েছে, স্বাভাবিক মৃত্যুর দিন পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে একাত্তরে গণহত্যা, খুন, গণধর্ষণ, ধর্মান্তর করণ ও সংখ্যালঘু বিতাড়নে দোষী সাব্যস্ত সাইদি ওরফে পিরোজপুরের দেউল্লা রাজাকারকে। তিনি জামাতে ইসলামির নায়েবে আমির বা সহ-সভাপতি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলের সাংসদ সাইদি ২০১০-এর ২৯ জুন থেকে জেলে রয়েছেন। মানবতা-বিরোধী আদালত ২০১৩-র ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে জামাতে ইসলামি ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির বাংলাদেশ জুড়ে ভাঙচুর, লুঠ ও সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ শুরু করে। প্রথম তিন দিনেই মারা যান ৭০ জন। এর পরে ২০১৪-র ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সাইদির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল।
আপিল বিভাগ এ দিন চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে নিতেই হয়। তবে দেলোয়ার হোসেন সাইদির মতো দেশ ও সভ্যতার ক্ষতিকর ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি না-হওয়ায় আমি ব্যথিত।’’ সাইদির পুত্র দাবি করেছেন, তাঁর বাবার এক দিনও কারাবাস হওয়া উচিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy