প্রতীকী চিত্র
‘বহুদিন ধরে ফেরা হয়নি ঘরে
আমি দূর প্রবাসে পড়ে রই…’
যাঁরা প্রবাসে থাকেন, পুজো এলেই তাঁদের বড্ড মন কেমনের পালা। প্রিয়জনেদের সঙ্গে কথা হওয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ফেলে আসা বাড়ি, শহর বা দেশের স্মৃতি আরও বেশি যেন উস্কে দেয়। চেনা ঘরের কোণ হাতছানি দিয়ে ডাকে। এ সময়টায় ঘরে ফেরার সুযোগ না হলে কিছুই যেন ভাল লাগে না।
দূর প্রবাসে ভাল থাকার পথ খুঁজতে সেখানকার ঘরটাকেই যদি একটু সাজিয়ে তোলা যায় নিজেদের মতো করে? খুব সামান্য জিনিসের রদবদল করে যদি সেখানেই বুনে দেওয়া যায় পুজোয় আমেজ? তেমন কিছু উপায় রইল এই প্রতিবেদনে।
১। পুরো ঘর রং যদি না-ও করা যায়, ঠাকুরঘর আর বসার ঘরটুকু রাঙিয়ে নিন অন্য রকম ভাবে। বাড়িতে দুর্গা পুজো হোক বা না হোক, ঘরে দেবীর বোধন হোক ঠাকুরঘরের নতুন সাজে। পুজোয় বাড়িতে অতিথি সমাগম হলে সেই নতুন রঙে উজ্জ্বল সেই ড্রয়িং রুমে আড্ডা জমুক।
২। বাড়ির ফুলদানিগুলো ভরে উঠুক রঙবেরঙের ফুলে। টাটকা ফুল থাক। সঙ্গে থাকতে পারে কাগজ, প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন উপাদনে তৈরি ফুল। মনের মতো ফুলের সাজে সেজে উঠুক আপনার গৃহকোণ। তবে বেডরুমে টাটকা ফুলই ভাল। তার সুবাসে ভরে থাক আপনার শান্তি-নীড়।
৩। গৃহসজ্জার একটি অন্যতম বড় অঙ্গ পর্দা। ঘর সাজাতে পালটে ফেলুন তাদের। নস্টালজিয়ায় ডুব দিতে চাইলে ছোটবেলার পছন্দের কোনও নির্দিষ্ট ধরনের পর্দা আপনি টাঙাতে পারেন। এমনিতে বেছে নিন ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই পর্দা। চেনা ঘর পালটে যাবে নিমেষে।
৪। প্রতিদিনের ব্যবহারের সাধারণ কিছু জিনিস বা বাসনপত্র অদলবদল করুন। যেমন ডাইনিং টেবিলে রাখা নুন-গোলমরিচদানি, চিনির পাত্র, আচারের শিশি, কফি মগ, রোজকার ব্যবহারের জলের বোতল, খাবারের থালা, ব্রাশের স্ট্যান্ড, তোয়ালে, সাবান কেস ইত্যাদি। এই সামান্য রদবদলেই পুজোর নতুন সাজের আমেজ মাখবে আপনার বাড়ি।
৫।পাপোষ বা ডোরম্যাটও কিন্তু একটা বাড়ির মেজাজ বদলে দিতে পারে। প্রবেশদ্বারের পাপোষটি হোক আকর্ষণীয় এবং বড়। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের পাপোষ রাখতে পারেন। বেডরুমের পাপোষটি হোক আপনার সবথেকে প্রিয়। খুদে সন্তানের আলাদা ঘর থাকলে তাকেও দিন পছন্দসই মজাদার ডোরম্যাট।
পুজোর সাজে এ ভাবেই সেজে উঠুক আপনার প্রবাসের ঠিকানা। বাকিটা বুঝে নেবে শারদ আমেজ।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy