এক কালে ঠাকুমা-দিদিমার ঘরের কাঠের টেবিলে অথবা দেরাজে আমলকীর শিশি থাকাটা ছিল অপরিহার্য। আর দুপুরে ঠাকুমা বা দিদিমা যখন ভাত-ঘুম দিত, তখন বাড়ির খুদের দল, নাতি-নাতনিরা পা টিপে টিপে সেই ঘরে ঢুকে শিশি থেকে আমলকী চুরি করে খেত। সে যুগে গেরস্থ বাঙালি সংসারের এ এক অতিপরিচিত মিষ্টি ছবি ছিল যেন।
এখন ঠাকুমা-দিদিমার দেরাজের বদলে আমলকীর ঠাঁই হয়েছে সাদা ছোট ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেটে। তবু আমলকি আছে। ভাল মতোই আছে, বাড়িতে বাড়িতে। কারণ, আমলকী খাওয়ার উপকার আজও অমলিন। এক কণাও কমেনি! কী সেই নানাবিধ উপকার আমলা অর্থাৎ আমলকি খাওয়ার? বলা যাক।
১. কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলস থাকলে রোজ আমলকী থেতো করে তার রস খেলে দুটো সমস্যাই দূর হবে।
২. আমলকী খেলে ত্বক এবং মাথার চুল সুন্দর থাকে। ত্বকের জেল্লা বাড়ে রোজ আমলকী খেলে, চুলের স্বাস্থ্যও বজায় থাকে।
৩. রোজ দুপুর ও রাতে খাওয়ার পর এক টুকরো আমলকী খেলে বদ হজমের কোনও আশঙ্কা থাকে না।
৪. শুকনো আমলকী ফল আধা চূর্ণ করে সেই আধ-গুঁড়ো আমলকি এক গ্লাস জলে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে খেলে পেট খারাপের সমস্যা কমে যায়।
৫. কাঁচা আমলকী চিবিয়ে খেলে দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার ও সুস্থ থাকে। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ থাকলে তা দূর হয়।
৬. আমলকীর রসের সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার থাকা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। চোখ থেকে জল পড়া, চোখ চুলকানি, চোখে প্রদাহ ইত্যাদি বন্ধ হয়।
৭. অরুচি হলে আমলকী মুখের রুচি ফেরায়। এক টুকরো আমলকী খেলে মুখের হারানো স্বাদ ফিরে আসে, খিদে বাড়ে।
৮. আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে রোজ খেলে শরীরের ওজন কমে, স্থূলকায় মানুষ রোগা হয়। মোটা মানুষজনদের তাই ডায়েটের পাশাপাশি এ ভাবে আমলকী খেলেও উপকার।
৯. আমলকীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সর্দি-কাশি কমাতে অব্যর্থ। এ ছাড়াও এটা মানুষের শরীরের রক্তাপ্লতা অর্থাৎ রক্তশূন্যতা রোধে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy