ক্ষোভ প্রদর্শন আর নয়। বরং কঠোর বাস্তবটাকে এ বার মেনে নিন। ‘নিখোঁজ’ বিমান বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআরের চিনা যাত্রীদের ক্ষুব্ধ পরিজনদের এমনই পরামর্শ দিল চিনেরই এক সংবাদপত্র। সোমবারে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে ওই পত্রিকার স্পষ্ট মত, মালয়েশীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার না করে ওই যাত্রীদের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিয়ে এ বার ভাবতে শুরু করা উচিত।
গত তেইশ দিন ধরে অবশ্য চিনা সংবাদমাধ্যমের কড়া সুর শুনেছে গোটা বিশ্ব। চিনের নিখোঁজ যাত্রীদের আত্মীয়দের প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে রীতিমতো সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। কোনও জোরদার প্রমাণ ছাড়াই কী ভাবে এমএইচ-৩৭০-র শেষ পরিণতি ঘোষণা করে দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বিক্ষুব্ধ পরিজনদের পাশাপাশি চিনা সংবাদমাধ্যমও এ প্রশ্ন বার বার তুলেছে। কিন্তু এ দিনের পর পরিষ্কার, সামান্য হলেও মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সুর নরম করতে শুরু করেছে চিনের সংবাদমাধ্যম। সেই সঙ্গে তদন্তের কাজে অনেক সময়ই যে বেশ কিছু তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব নয়, সে কথাও জানিয়েছে ওই পত্রিকা। তাদের বার্তা, যতটুকু যা প্রমাণ আছে তা মেনে নিয়ে যাত্রীদের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করুন নিকটজনেরা।
তবে সে সব কথা শুনতে চান না আত্মীয়রা। গত কাল কুয়ালা লামপুরে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মালয়েশীয় সরকারকে। এ দিন তাঁরা কুয়ালা লামপুরের একটি বৌদ্ধ মঠে গিয়ে নিখোঁজ পরিজনদের জন্য প্রার্থনা করেন। এ দিন তাঁদের মুখপাত্র জিয়াং হুই বলেন, “সত্যি গোপন করছেন যাঁরা, তাঁদের কখনও ক্ষমা করব না।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট অবশ্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, “যা প্রমাণ মিলেছে তা থেকে এটা পরিষ্কার বিমানটি হারিয়েই গিয়েছে এবং সেটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণেই কোথাও তলিয়েছে।” তাঁর দাবি, নাজিব বিষয়টিকে জনসমক্ষে এনে ঠিক কাজ করেছেন। সংবাদমাধ্যম এ দিনও তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, তদন্তের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? জবাব মেলে, “আমি কোনও সময়সীমা দিতে পারব না।...তবে আরও বেশ অনেকটা সময় তল্লাশি চলবে।”
দৈনিককে তোপ জাহারি-কন্যার
তাঁর নাম করে ভুয়ো খবর ছেপেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র। এমনই দাবি করলেন নিখোঁজ বিমান এমএইচ-৩৭০-র পাইলট জাহারি আহমেদ শাহের কন্যা আইশা শাহ। রবিবার ব্রিটেনের এক সংবাদপত্র দাবি করে, পুলিশি জেরায় আইশা জানান, বিমানে ওঠার আগের দিন পর্যন্ত মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন জাহারি। এ দিন আইশা ওই সংবাদপত্রের নাম করে ফেসবুকে লেখেন, “আপনারা খুব ভাল গল্প বানাতে পারেন। ছবি বানানোর কথা ভাবা উচিত আপনাদের।” একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, “আমি কোনও দিন আপনাদের ক্ষমা করব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy