মাসে এক বার প্যারিসে লুই ভিতোঁ সংস্থার সদর দফতরে পাঁচ পুত্র-কন্যার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে বসেন কর্তা বার্নার্ড আর্নল্ট। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ পুত্র-কন্যার সঙ্গে মাসে এক বারের বেশি দেখা করার ফুরসত পান না বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। ওই এক দিনই মধ্যাহ্নভোজের টেবিলেই মূলত দেখা হয় তাঁদের। চলে আলাপ-আলোচনা। খাবার টেবিলে বসে আরও একটা কাজ করেন লুই ভিতোঁ সংস্থার চেয়ারম্যান এবং সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট। পাঁচ পুত্র-কন্যার প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নেন। পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করেন, কার হাতে তুলে দেবেন ব্যবসার রাশ।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আর্নল্টের এই অদ্ভুত পরীক্ষা পদ্ধতির কথা তুলেছে ধরেছে। তারা জানিয়েছে, মাসে এক বার প্যারিসে লুই ভিতোঁ সংস্থার সদর দফতরে পাঁচ পুত্র-কন্যার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে বসেন কর্তা। প্রায় ৯০ মিনিট ধরে বন্ধ ঘরে চলে সেই ভোজ। খাবার টেবিলেই নানা রকম আলোচনা হয়। ভোজের শুরুতেই নিজের আইপ্যাড থেকে ফরাসি শিল্পপতি পড়ে শোনান, সে দিন কী নিয়ে চলবে আলোচনা। পাশাপাশি, কখনও ব্যবসা নিয়ে ৭৪ বছরের বাবার পরামর্শ নেন পাঁচ জন। কখনও আবার উল্টোটা করেন বাবা।
সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ওই মধ্যাহ্নভোজের টেবিলেই আর্নল্ট ‘অডিশন’ নেন পুত্র-কন্যাদের। কে হবেন তাঁর উত্তরসূরি, বোঝার চেষ্টা করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালিয়ে যাচ্ছেন আর্নল্ট। এর মাধ্যমে সন্তানদের প্রস্তুতও করছেন তিনি। তবে কাকে বাছতে চলেছেন, নিজের উত্তরসূরি, তা গোপনেই রেখেছেন আর্নল্ট।
ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার সূচক বলছে, গত বছরের শেষ দিকে টেসলা কর্তা ইলন মাস্ককেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন আর্নল্ট। তিনি পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তির তকমা পেয়েছেন। সূচক বলছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত আর্নল্টের সম্পত্তির পরিমাণ ২০৮ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা। ১৯৮৯ সালে লুই ভিতোঁ সংস্থার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদার হন আর্নল্ট। বুলগারি, টিফানি, সেফোরা, টিএজি হিউয়ার, দোঁ পেরিনো শ্যাম্পেন সংস্থাও তাঁরই হাতে। ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের মালিক আর্নল্টের বড় কন্যা ডেলফিন। বাকি সম্পত্তি চার ছেলের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। তবে তাঁর আসল উত্তরসূরি কে, এখনও গোপনই রেখেছেন আর্নল্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy