Advertisement
E-Paper

WHO: অতিমারি শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই, মত হু-র

করোনাভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেনের তুলনায় আপাতদৃষ্টিতে একে নিরীহ মনে হলেও ওমিক্রনের প্রভাব কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে চিন্তায় আমেরিকা।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৩০
Share
Save

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন কোভিড অতিমারি এ বার শেষের পথে। ইউরোপ বলে দিয়েছে, কোভিড এ বার ধীরে ধীরে সাধারণ ফ্লু হয়ে যাবে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস আজ ফের বলেছেন, ‘‘অতিমারি শেষ হওয়ার কোনও লক্ষ্মণ নেই।’’ ওমিক্রনকে যে ভাবে লঘু করে দেখা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, ‘‘কোনও ভুল করবেন না। ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, মৃত্যুও হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গড়ে হয়তো বেশির ভাগ মানুষই কম ভুগছেন। কিন্তু যে ভাবে একে হাল্কা করে দেখানো হচ্ছে, সেটা ভুল। এতে ভুল
বার্তা যাচ্ছে। মানুষকে প্রাণের দাম দিতে হচ্ছে।’’

করোনাভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেনের তুলনায় আপাতদৃষ্টিতে একে নিরীহ মনে হলেও ওমিক্রনের প্রভাব কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে চিন্তায় আমেরিকা। নতুন একটি সমীক্ষায় দাবি কর হয়েছে, মার্চের মাঝামাঝির মধ্যে আরও অন্তত ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ মানুষের প্রাণ যেতে পারে এ দেশে। ইতিমধ্যেই এ দেশে সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। গোটা বিশ্বে ক্ষতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা।

নভেম্বর থেকে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করে আমেরিকায়। একই সঙ্গে ডেল্টা ও ওমিক্রনের ঢেউ। ক্রমে ওমিক্রনই মূল সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, টিকাকরণ ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই আটকে দিয়েছে। তাই গত বছরের মতো মৃত্যুর ঢল নামেনি। যদিও বহু হাসপাতালে শয্যার অভাব, স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে
সংক্রমিত। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন, বিপর্যস্ত প্রদেশগুলিতে সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ করা হবে।

মাঝে শোনা যাচ্ছিল, ইউরোপের মতো আমেরিকাতেও সংক্রমণ নিম্নমুখী। কিন্তু বর্তমান খবারখবর সেই তথ্য নস্যাৎ করে দিচ্ছে। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এখন গড়ে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৭ লক্ষ। বেশির ভাগ প্রদেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে কিছু দাবিদাওয়ায় স্ট্রাইক ডেকেছে নার্সদের একাংশ। ফলে নাজেহাল দশা আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতরের।

পরিস্থিতি কী ভাবে সামলাবেন, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। আজ তিনি জানিয়েছেন, ভাল গুনমানের ৪০ কোটি মাস্ক বিনামূল্যে বিলি করা হবে সাধারণ মানুষের কাছে। মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এই সরকারি উদ্যোগ। সামনের সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরু হবে। এ জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হাজার দশেক কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলি মূলত ওধুধের দোকান বা কমিউনিটি সেন্টার।

মাস্ক পরা ছাড়াও করোনা পরীক্ষা করানোতেও জোর দেওয়া হচ্ছে এ দেশে। গত কাল একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইট মারফত আমেরিকানরা বাড়িতে বসেই বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করাতে পারবেন। দেশ জুড়ে কয়েকশো কোটি র‌্যাপিড টেস্ট কিট বিলির ভাবনাচিন্তাও রয়েছে সরকারের।

WHO Coronavirus Epidemic

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}