বরাবরই দেশের অর্থনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে সরব ছিলেন হাসমত। তিনি বলতেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে আফগান সরকার উদাসীন। এমনকি বিদেশ থেকে আসা কোটি কোটি ডলার পেয়েও তা কাজে লাগায় না সরকার। পরিকাঠামোর উন্নয়নে কোনও ইচ্ছা তো নেই-ই বরং ওই অর্থ সরকারই আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সব কিছু নিয়েই হাসমত অভিযোগ করেছেন বার বার। প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছেন।
আফগানদের বৃহত্তম উপজাতি কোচির পরিষদীয় প্রধান হাসমত। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর কথার গুরুত্ব এই অংশের মানুষের কাছে ব্যাপক। এই কোচিরা সংখ্যায় নেহাৎ কম নয়। ২০০৪ সালে যখন আফগানিস্তানেরর মোট জনসংখ্যা ২.৪৭ কোটি, তখন কোচিরা সংখ্যায় ২৪ লক্ষ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। দেশের একটি বড় অংশের মানুষের কাছে সরকারকে অপদস্থ করে হাসমতের সেই সব মন্তব্য যে হামিদ ভাল চোখে দেখেননি, তারই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে।
নেটমাধ্যমে এর পাশাপাশি ছড়িয়েছিল একটি ভিডিয়োও। তাতে দেখা যায় তালিবান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন হাসমত। পাশে দাঁড়ানো তালিব নেতা জড়িয়ে ধরেছেন হাসমতকে। তাঁর মাথা চুম্বন করতেও দেখা যায় ওই তালিবান নেতাকে। এর পর সশস্ত্র তালিব যোদ্ধারা স্লোগান দিতে শুরু করেন। মুখে খুশির হাসি দেখা যায় হাসমতেরও।
আবার রাজনৈতিক কৌশলেও কিছু কম যান না। হাসমত সম্পর্কে এক বার তাঁর মেয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমার বাবা একইসঙ্গে কারজাই এবং তাঁর শত্রুদের এক ঘরে এনে দাঁড় করাতে পারেন। বাইরে হয়তো তাঁরা মুখোমুখি হলেই একে অপরকে কেটে ফেলবেন। অথচ আমার বাবার ডাকে, আমার পিতামহীর শেষকৃত্যে তাঁরা পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন। বাবার সেই ক্ষমতা আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy