বছরের মাঝামাঝি দাপিয়ে বেরিয়েছিল সে। সেই হানাদার ভাইরাস ছড়ানোয় উত্তর কোরিয়ার হাত আছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল আমেরিকা। কিম জং উনের দেশ আজ পত্রপাঠ সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
ওয়ানাক্রাই ম্যালওয়্যার! নাম শুনলেই যে কেউ চিনে নেবে কম্পিউটারের এই ভাইরাসকে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী হোমল্যান্ড সিকিউরিটি উপদেষ্টা টম বসার্ট মার্কিন এক দৈনিকে দাবি করেন, যত দোষ উত্তর কোরিয়ারই। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন অভিযোগ অবাস্তব। সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা অনেক কিছুর দিকেই এগোচ্ছি। কিন্তু সাইবার হানা নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। ওয়াশিংটনের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল।’’
কিম জং উনের দেশের বিরুদ্ধে সাইবার হানার অভিযোগ এই প্রথম আনল আমেরিকা। এর আগে নভেম্বরে ব্রিটিশ সরকার দাবি করেছিল, তারা প্রায় নিশ্চিত যে এই ভাইরাস হানার পিছনে হাত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। শুধু অভিযোগ তোলা নয়, উত্তর কোরিয়ার উপরে দায় চাপিয়ে বসার্ট বলেছেন ওয়াশিংটনের হাতে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। তবে সেই প্রমাণ দৈনিকে প্রকাশ করা হয়নি।
বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে পরিষেবা এক ধাক্কায় স্তব্ধ করে দিয়েছিল ওয়ানাক্রাই। যার জেরে কয়েকশো কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছিল আমেরিকা। ১৫০টি দেশের ৩ লক্ষেরও বেশি কম্পিউটারে থাবা বসিয়েছিল ভাইরাসটি।
বসার্ট জানিয়েছেন, অন্য দেশের সরকারের কাছ থেকে এবং বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে যে সব তথ্য মিলেছে, তার সঙ্গে আমেরিকার তদন্ত রিপোর্ট মিলিয়ে প্রমাণ অনেকটাই জোরালো হয়েছে। গত মে মাসে এই সাইবার হামলার জেরে ব্যবহারকারীদের সব তথ্য লক হয়ে যায়। বলা হয়, তথ্য পুনরুদ্ধার করতে গেলে বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ সংস্থা ইউরোপোল জানিয়েছিল, এই হানা নজিরবিহীন। ওই মার্কিন দৈনিকে বসার্ট দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে। তারা যাতে আর এ ধরনের ভয়ঙ্কর সাইবার হানা চালাতে না পারে, সে জন্য যথেচ্ছ চাপ তৈরি করবে আমেরিকা। আজ উত্তর কোরিয়া অবশ্য বলেছে, ‘‘এটা একেবারেই আমেরিকার রাজনৈতিক প্ররোচনা। ওরা চায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও বেশি দেশ আমাদের বিরুদ্ধে চলে যাক।’’ ব্রিটেন গত মাসে অভিযোগ তোলার পরে তারা বলেছিল, এটা ‘ভিত্তিহীন অনুমান।’ উত্তর কোরিয়ার উপরে যাতে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপে, তার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করে পিয়ংইয়ং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy