‘দোষী সাব্যস্ত করো, না-হলে তুমিও কুকর্মের ভাগীদার’, বলছে ক্যাপিটলের সামনে ট্রাম্প-বিরোধী পোস্টার। রয়টার্স
আমেরিকান কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে দেশের সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করা হবে কি না, মামলার প্রথম দিনেই তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৬টি, বিপক্ষে ৪৪টি। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল তাণ্ডবের পিছনে রয়েছে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের উস্কানিমূলক ভাষণ, এই অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে। গতকাল শুনানি শুরু হয়েছে সেনেটে। চলবে অন্তত এক সপ্তাহ। নিয়ম অনুয়ায়ী, প্রথম দিনেই ভোট নিয়ে ঠিক করা হবে, ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া আদৌ চালানো হবে, নাকি প্রথমেই তা খারিজ করে দেওয়া হবে। সেই ভোটাভুটিতেই দেখা গিয়েছে, ইমপিচমেন্ট শুনানি চেয়ে ভোট দিয়েছেন ১০০-র মধ্যে ৫৬ জন।
এখন সেনেটে রিপাবলিকান সদস্য সংখ্যা ৫০। অর্থাৎ, ৬ জন রিপাবলিকান সদস্য ইমপিচমেন্ট শুনানি চেয়ে ভোট দিয়েছেন। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ডেমোক্র্যাটেরা। এ যাত্রায় এই ‘৫৬’ সংখ্যাটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট হলেও একদম শেষ পর্বে এসে ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে প্রয়োজন আরও অনেক রিপাবলিকানের সমর্থন। কারণ দুই-তৃতীয়াংশ ভোট না পেলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা যাবে না।
ইমপিচপন্থী রিপাবলিকানের সংখ্যাটা এখনকার ৬ থেকে বাড়িয়ে ১৬ করার জন্য জোরদার সওয়াল করতে হবে ডেমোক্র্যাট দলের ইমপিচ-টিমকে। ইমপিচ-বিরোধী রিপাবলিকানদের প্রধান প্রশ্ন, ট্রাম্প তো এখন আর প্রেসিডেন্ট পদেও নেই। তা হলে আর তাঁকে ইমপিচ করার প্রয়োজন রয়েছে কি। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, অবশ্যই রয়েছে। এবং বিতর্ক জমাতে এই ডেমোক্র্যাট কৌঁসুলিরা ইতিহাসের আশ্রয় নিচ্ছেন। নজির দেখাচ্ছেন ঔপনিবেশিক ভারতের গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের। ১৭৮৫ সালে পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেও ভারতে
তাঁর বিভিন্ন ‘অপরাধ’-এর জন্য ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে হেস্টিংসের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছিল। দীর্ঘ সাত বছর চলে সেই মামলা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পার পেয়ে দিয়েছিলেন হেস্টিংস।
ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনা সেই উদাহরণ দেখিয়ে ডেমোক্র্যাটেরা বলছেন, ‘‘শুধু পদ থেকে সরে যাওয়া বা ইস্তফা দিলেই তো ‘পাপস্খালন’ হয় না। যিনি কোনও ‘অপরাধ’ করেছেন, তাঁকে তো ‘দণ্ড’ পেতেই হবে। তা তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোন না কেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy