ক্যাকটাস থেকে তৈরি চামড়া। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
এবার আর চামড়ার জন্য পশু হত্যা করতে হবে না। এমনটাই দাবি করলেন মেক্সিকোর দুই যুবক। তাঁদের দাবি ফনিমনসা জাতীয় ক্যাকটাস থেকে তাঁরা তৈরি করে ফলেছেন এমনই এক চামড়া, যা থেকে তৈরি করা যাবে ব্যাগ, জুতো, জ্যাকেট। আর এই চামড়া তৈরির ক্ষেত্রে তাঁরা কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিকও ব্যবহার করেননি। এই চামড়ার নাম দিয়েছেন ‘ডেসার্টো’।
অ্যান্ড্রি-এন এল-পেজ ভেলার্ডে এবং মার্টে সি-জারেজ নামে এই দুই মেক্সিকান যুবকের দাবি, এই নিরামিষ চামড়া যে কোনও কোম্পানি আসবাবপত্র ও গাড়ির কভার, পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।
এই চামড়া থেকে তৈরি দ্রব্য অন্তত ১০ বছর টিকবে। শুধু তাই নয় এই চামড়া ফ্লেক্সিবলও। ফলে সব দিক থেকেই এটি পশুর চামড়ার তৈরি দ্রব্যের মতোই লাগবে। আর এগুলি পরিবেশ বান্ধব। ফলে ব্যবহারের পর এই চামড়ার তৈরি দ্রব্য ফেলে দিলে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।
পশুর শরীর থেকে চামড়া সংগ্রহ করার পর সেগুলি ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে প্রায় ২৫০ রকমের দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এই দ্রব্যগুলির মধ্যে রয়েছে, ফর্মালডিহাইড, সায়ানাইড, আর্সেনিক ও ক্রোমিয়ামের মতো পদার্থ। ফলে এগুলি শরীরের পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি করে। এমন কি জলে মিশে তাকেও দূষিত করে।
ভেলার্দে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেএমন চামড়ার মতো দ্রব্য তৈরির কথা তাঁদের মাথায় আসে। আর সে কাজে এই ধরনের ক্যাকটাস বেছে নেওয়ার কারণ হল, এগুলি বেড়ে ওঠার জন্য খুব কম জল লাগে। আর গোটা মেক্সিকো জুড়েই এই ক্যাকটাস পাওয়া যায়।
যে কোম্পানি এই চামড়া ব্যবহার করবে, তাদের কারখানায় প্রায় ২০ শতাংশ জল কম লাগবে বলেও দাবি করেছেন ভেলার্দে। এই চামড়া প্লাস্টিকের ব্যবহার ৩২ থেকে ৪২ শতাংশ কমিয়ে দেবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এখনই এই চামড়া থেকে প্রচুর পরিমাণে পরিধানযোগ্য দ্রব্য তৈরি হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেলার্দে। বিভিন্ন কোম্পানিই এই নিরামিষ চামড়া ব্যবহারে উদ্যোগী হয়েছেন। এমনকি জানা যাচ্ছে, পোর্সার নতুন ‘টাইক্যান’ ইলেকট্রিক গাড়িতে ক্রেতারা চাইলে এই চামড়া ব্যবহার করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy