ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: রয়টার্স।
বাংলাদেশ জুড়ে হিংসার প্রতিবাদে গর্জে উঠল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সহিংসতার বিরুদ্ধে কনসার্ট’-এর আয়োজন করে দেশে সম্প্রীতি এবং সংহতির আহ্বান জানানো হয়।
সুরের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয় সাম্প্রতিক হিংসা এবং তাণ্ডবের বিরুদ্ধে। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হওয়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নামকরা ব্যান্ডগুলি হাজির ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এবং প্রাক্তনীরাও হাজির থেকে সেই প্রতিবাদের সুরে সুর মেলান।
কনসার্টে শিরোনামহীন, মেঘদল, সহজিয়া, শহরতলি, বাংলা ফাইভ, গানপোকা, গানকবি, কৃষ্ণপক্ষ, কাল, অবলিক-সহ নামকরা ব্যান্ডগুলি সঙ্গীত পরিবেশন করে। কবিতা আবৃত্তি এবং মূকাভিনয়ের মাধ্যমেও ঐক্যে এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়।
এই আয়োজনের উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট-এর প্রাক্তন ছাত্র তুহিনকান্তি দাস বলেন, “দেশ জুড়ে হিংসার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ গড়ে তোলাই হল এই ধরনের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা চাই এ দেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম পরিচয়ের চেয়ে বাংলাদেশি পরিচয়েই পরিচিত হোক।”
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় একটি দুর্গামণ্ডপে অন্য ধর্মের ধর্মগ্রন্থ রাখা ঘিরে হিংসা ছড়ায় চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, রংপুর-সহ একাধিক জায়গায়। অভিযোগ, দুর্গাপুজোর মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দির এমনকি ইস্কনের মন্দিরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর চালানো হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর-দোকানেও। এটাকে পরিকল্পিত হামলা এবং চক্রান্ত বলে ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ সরকার। ভারতের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক নষ্ট করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করে হাসিনা সরকার। একই সঙ্গে এই হিংসার ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার ঘটনায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় আর কারা জড়িয়ে রয়েছেন তাঁদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy