একশোর ঘরে ঢুকে পড়ল দ্বিতীয় জ্বালানি তেলও। ফাইল চিত্র।
জুলাইয়ে পেট্রল। তিন মাসের মধ্যে ডিজ়েল। রাজ্যে একশোর ঘরে ঢুকে পড়ল দ্বিতীয় জ্বালানি তেলও। যার ফলে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্রের দাম নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হল। তেল সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বারবিশায় ভারত পেট্রলিয়াম এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে ডিজ়েলের দাম হয়েছে লিটার প্রতি যথাক্রমে ১০০ টাকা ৭ পয়সা ও ১০০ টাকা ৫ পয়সা। একই দিনে পুরুলিয়ার ঝালদায় ডিজ়েলের দাম হয়েছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৪ পয়সা।
পণ্য-সহ যে কোনও পরিবহণে মূলত ডিজ়েলেরই ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই বরাবরই এই জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে এক ধার থেকে সব জিনিসের দাম বাড়ে। এর মধ্যেই বাজারে আনাজ থেকে মাছ, মাংস, সবই অগ্নিমূল্য। এই পরিস্থিতিতে পরপর কয়েক দিন বেড়ে রাজ্যে ডিজ়েলের দামও লিটার প্রতি একশো টাকা পার হয়ে গেল। ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুধু বারবিশা বা ঝালদা নয়, এ বারে রাজ্যের বাকি অংশেও দাম সেঞ্চুরি করবে। আলিপুরদুয়ারের কারও কারও বক্তব্য, বারবিশা একেবারে অসমের সীমানা ঘেঁষা। তাই প্রান্তিক এলাকায় তেল পরিবহণের খরচ অনেকটা। সেই কারণে সেখানে সবার আগে সেঞ্চুরি করল ডিজ়েল। শনিবার আলিপুরদুয়ারের আইওসি পাম্পেও দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৭ পয়সা। কলকাতাও বেশি দূরে নেই। আইওসি পাম্পে শনিবার ডিজ়েলের দাম দাঁড়াচ্ছে লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ৮ পয়সা। এই পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া জেলা বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘চলতি অক্টোবরেই লিটারে ৪ টাকার মতো দাম বেড়েছে ডিজ়েলের। এই দাম বৃদ্ধির শেষ কোথায়, কারও জানা নেই!’’
তেলের দাম নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “পেট্রল-ডিজ়েলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে এই রাজ্য সরকারের তীব্র আপত্তিতেই জ্বালানি তেলের দাম জিএসটি-র আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তাই এই দাম বৃদ্ধির দায় রাজ্যের।” যা শুনে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র পাল্টা বলেন, “যিনি এ কথা বলেছেন, তিনি আসলে কিছুই জানেন না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘হয় কেন্দ্র এই দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, না হয় ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের উপরে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।” সুকান্তের দাবি নস্যাৎ করে তৃণমূলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়ও বলেন, ‘‘সারা পৃথিবীতে যখন জ্বালানির দাম কমেছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপই করেনি। এখন নজর ঘোরাতে রাজ্যের দিকে আঙুল তুলছে।’’
সাধারণ মানুষ অবশ্য বলছেন, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিতে জ্বালানির দাম যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তা হলে আমজনতার জন্য সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। সেটা কী ভাবে সামলানো হবে, সব সরকারেরই সেটা দেখা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy