—ফাইল চিত্র
মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা থামানোর লক্ষ্যে উৎসর্গীকৃত আজকের এই দিনটি। সেই ২৫ নভেম্বরেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। বললেন, ‘‘এক বছর ধরে অতিমারির ছায়া আমাদের পৃথিবী ঢেকে রেখেছে। কিন্তু আর এক পরোক্ষ অতিমারিও আমাদের ক্রমশ আচ্ছন্ন করে ফেলছে। সেই অতিমারি নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বেড়ে চলা হিংসার। সারা পৃথিবী জুড়ে এই ব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। আপৎকালীন ভিত্তিতে এই রোগের মোকাবিলা করতে হবে।’’
কোভিড অতিমারির জেরে পৃথিবীজোড়া লকডাউন, ঘরে বসে কাজ এবং বেকারত্বে জর্জরিত সারা পৃথিবীর এক বিশাল অংশের মানুষ। রোজগার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা এবং পাল্টে যাওয়া পারিবারিক সমীকরণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঘরোয়া হিংসাও। এর আগেও রাষ্ট্রপুঞ্জের করা একাধিক সমীক্ষায় এই ভয়ের ছবি উঠে এসেছিল। যার অনুরণন শোনা গেল আজ মহাসচিবের বক্তব্যে।
টুইটার-বার্তায় গুতেরেস লিখেছেন, ‘‘আজ, ২০ নভেম্বর, মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধের ডাক দিয়ে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয়। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সারা পৃথিবীর সব মানুষ, সব সংগঠন এবং সব সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, তারা যেন নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এই বিশ্বজনীন ‘ছায়া অতিমারি’র বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর লড়াই চালাতে হবে।’’
মহাসচিব আরও জানিয়েছেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা রুখতে ১৬ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল স্তরে বিভিন্ন সংগঠনকে চিহ্নিত করার কাজ চালানো হবে, যারা ঘরোয়া হিংসা রুখতে কাজ করছে বা কাজ করতে পারবে। তার পরে এই সব সংগঠনকে প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ। হিংসার শিকার হয়েছেন যে সব মেয়ে, বা ঘরোয়া হিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন যাঁরা, তাঁদেরও চিহ্নিত করে সাহায্য করা হবে বলে জানান গুতেরেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy