বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই মাস থেকে যে অশান্তি ও হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে তা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আমেরিকা। পদ্মাপারের পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ রাখছে ভারত-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের সহকারী মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই হিংসা থামানোর জন্য বার্তা দিয়েছেন। তাঁর সেই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বেদান্ত। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের নয়া সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগের আঁচ পড়েছে আমেরিকাতেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমেরিকা যাতে পদক্ষেপ করে, সে বিষয়ে একটি সংগঠনের তরফে আর্জি গিয়েছে হোয়াইট হাউসে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কেন চুপ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল ওই সংগঠন। এ সবের মধ্যেই আমেরিকার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে দু’দফার আন্দোলনে কমপক্ষে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে দেড় দশকের আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। কিন্তু এর পরেও ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার সকালেও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এসেছে সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী।” এর আগে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর শুভেচ্ছাবার্তাতেও ইউনূসকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিলেন মোদী।