স্বাধীন তাইওয়ান নয়, ‘এক চিন’ নীতিতেই বিশ্বাস করে আমেরিকা। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে সোমবার স্পষ্ট ভাষায় একথা জানিয়ে দিলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমেরিকা এখনও ‘এক চিন’ নীতিতেই বিশ্বাস করে।’’
দু’দিনের চিন সফরে আমেরিকার বিদেশ সচিবের এই মন্তব্য তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা প্রশমনের অনুঘটক হবে বলেই কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। তবে জিনপিংয়ের সামনেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার জন্য বেজিংয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে চিনের কিছু সংস্থার ভূমিকা রয়েছে। আমাদের আশা রাশিয়াকে কোনও গণবিধ্বংসী অস্ত্র দেবে না চিন।’’
আরও পড়ুন:
গত অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত দু’টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিলের সেই উপস্থিতি নিয়ে সে সময় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, ওয়াশিংটন যদি তাইওয়ানকে মূল চিনা ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, তবে তার পরিণাম হবে মারাত্মক।