১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছে। ফাইল চিত্র।
বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ঠিক এক মাস আগে। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক (এসবিআই)-এর তরফে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে আরবিআই ওই বিজ্ঞপ্তি জারির পরের ১৫ দিনে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে মোট আমানতের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
ওই ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটির মধ্যে ৮০ শতাংশই স্থায়ী আমানত-সহ বিভিন্ন মেয়াদী আমানতে লগ্নি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। ২০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ঋণের চাহিদা এবং পরিশোধের প্রবণতা কমেছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে গত ১৯ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলি বদল করে নিতে বা অ্যাকাউন্টে জমা দিতেও বলা হয়েছিল নাগরিকদের।
গত বৃহস্পতিবার শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, বাজারে ছাড়া ২০০০ টাকার নোটের ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যেই তাদের কাছে ফেরত এসেছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বৃহস্পতিবার গোলাপি নোট বদল করার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে জানান, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে তাঁদের কাছে যে তথ্য এসেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৮৫ শতাংশ নোটই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এসবিআই-এর রিপোর্ট জানাল, ওই নোটের বড় অংশই বিভিন্ন মেয়াদী আমানতে লগ্নি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বাজারে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট চালু ছিল। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি এখনও পর্যন্ত ফেরত এসেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় নোটের ঘাটতি পূরণ করতে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট আনা হয়েছিল। বর্তমানে অন্য নোটগুলির জোগান যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই ২০১৮-’১৯ সালে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy