প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার নৌবাহিনী পেতে চলেছে আরও শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ। এটি তৈরি করছে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্টস এজেন্সি(ডিএআরপিএ)।
ডিএআরপিএ সূত্রে খবর, এই ডুবোজাহাজ হবে একেবারে ভিন্ন রূপের। সম্পূর্ণ মানববিহীন এই জাহাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মানতা রে’। সামুদ্রিক মাছ ‘স্টিং রে’-র আদলে তৈরি করা হচ্ছে জাহাজটিকে। ‘মানতা রে’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব হল, এটাকে এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে মাসের পর মাস এমনকি কয়েক বছর এই জাহাজের শক্তি অক্ষত থাকবে। ফলে কোনও যুদ্ধ বা অভিযানের সময় জ্বালানির জন্য কোনও নৌঘাঁটিতে ফিরে আসতে হবে না।
ফোর্বস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, জাহাজটি চলার জন্য তাতে সীমাহীন শক্তির ভাণ্ডার তৈরি করার চেষ্টা চলছে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে, এমনটাই বলছে ডিএআরপিএ-র এক সূত্র। আমেরিকার নৌবাহিনীর মানববিহীন জলযান ‘ওয়েভ গ্লাইডার’ যে ভাবে তৈরি করা হয়েছে, ‘মানতা রে’-তে সীমাহীন শক্তির ভাণ্ডার গড়ে তুলতে অনেকটা সেই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হতে পারে। তবে ওয়েব গ্লাইডার-এর শক্তির উৎস হল সূর্য এবং সমুদ্রের ঢেউ। কিন্তু ‘মানতা রে’-র ক্ষেত্রে সূর্যের শক্তিকে যেমন কাজে লাগানো যাবে না। তেমন সমুদ্রের ঢেউয়ের শক্তিকেও নয়। কারণ অত গভীরে এই দুই শক্তি কাজ করবে না বলে মত ডিএআরপিএ-র। থার্মাল ইঞ্জিন এবং থার্মেইলেকট্রিক মডিউলের মতো বিশেষ পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।
ডিএআরপিএ-র সূত্র বলছে, ‘মানতা রে’-র বিশেষ আকৃতি এটাকে শত্রুপক্ষের অগোচরে থেকে আঘাত হানতে সাহায্য করবে। সমুদ্র থেকেই যাতে এই জাহাজ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। এই জাহাজে থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ছোট ইলেকট্রনিক যুদ্ধাস্ত্র বহন করার ক্ষমতা। শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy