Advertisement
E-Paper

সবচেয়ে বেশি চিন থেকে, দ্বিতীয় ভারত! নিষিদ্ধ ওষুধের চোরাচালান বিতর্কে দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের

আমেরিকার জন্য কী কী সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। আমেরিকার গোয়েন্দা দফতর থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে রয়েছে ভারতের কথাও।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:০৪
Share
Save

আমেরিকায় নিষিদ্ধ ওষুধ ফেন্টানাইল এবং তা তৈরির সরঞ্জাম সবচেয়ে বেশি পাচার হয় চিন থেকে। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ভারত। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকা। আমেরিকার জন্য কী কী সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার ওই বার্ষিক ঝুঁকি পর্যালোচনা রিপোর্টে ভারত প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবারই মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের দফতর থেকে ওই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। ফেন্টানাইল হল ব্যথা উপশমের ওষুধ, যা মরফিনের তুলনায় বহু গুণ শক্তিশালী। কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের সঙ্গে আমেরিকার সাম্প্রতিক শুল্কযুদ্ধ শুরু হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম মূল কারণও এই ফেন্টানাইল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেন। ওয়াশিংটনের বক্তব্য, সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল পাচার বন্ধ করতেই শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা। বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে। একই ভাবে কানাডা হয়েও এই নিষিদ্ধ ওষুধ আমেরিকায় প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আমেরিকায় যত ফেন্টানাইল রয়েছে, তার মাত্র এক শতাংশই কানাডা থেকে গিয়েছে।

চিনও এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেজিংয়ের বক্তব্য, চিনা পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর জন্য ফেন্টানাইল প্রসঙ্গকে স্রেফ একটি ‘অযৌক্তিক অজুহাত’ হিসাবে ব্যবহার করছে আমেরিকা। তারা জানিয়েছিল, আমেরিকায় ফেন্টানাইল সংক্রান্ত সমস্যার দায় অন্য কোনও দেশের উপর চাপানো যায় না। এর জন্য দায়ী আমেরিকাই। অবৈধ ওষুধ ঘিরে এই বিতর্কের মাঝেই এ বার চিনের সঙ্গে ভারতকেও জুড়ে দেওয়া হল মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে। ঘটনাচক্রে, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টটি এমন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে, যখন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য আমেরিকার প্রতিনিধি দল ভারতে এসেছে।

USA India China US Tariff War

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}