মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো
একটা চিঠি! আর তাতেই মোটামুটি ‘কেঁপে উঠল’ হোয়াইট হাউস।
সম্প্রতি মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর কাছে একটি চিঠি এসে পৌঁছয়। প্রেরক উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন প্রধান তথা রাজনৈতিক উপদেষ্টা কিম ইয়ং চোল। গত শুক্রবার ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠিটি দেখান পম্পেয়ো। স্থানীয় একটি দৈনিক জানাচ্ছে, চিঠির বক্তব্য এ রকম— ‘‘দু’দেশের মধ্যে হওয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার অবস্থা শোচনীয়। আমেরিকা শান্তির পথে না হাঁটলে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে পারে উত্তর কোরিয়া।’’ প্রায় হুমকির সুরে লেখা চিঠির বয়ানে ঘোরতর ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সঙ্গে সঙ্গে পম্পেয়োর আসন্ন উত্তর কোরিয়া সফর বাতিল করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এক সময়ে সুসম্পর্কের বার্তা দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে বন্ধ করে দেওয়া মার্কিন সেনা মহড়া, নতুন করে শুরুর কথা জানাল ওয়াশিংটন।
গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাতের পরে দু’দেশের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছিল। ওই বৈঠকে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগে রাজি হয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এর পরে দুই রাষ্ট্রনেতাকে প্রকাশ্যে একে অন্যের প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল। উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা পরমাণু অস্ত্র গবেষণাগার নষ্ট করার কাজ শুরু করেছে। যদিও মাঝে একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়, মিথ্যে দাবি করছে উত্তর কোরিয়া। গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ চলছেই। কিন্তু এই দাবি, পাল্টা-দাবিতে সম্পর্কে চিড় ধরেনি।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চতুর্থ পিয়ংইয়্যাং সফরে রওনা হওয়ার কথা ছিল পম্পেয়ো ও বিশেষ মার্কিন দূত স্টিফেন বিগানের। সেই সফর বাতিল করেই ট্রাম্প এ দিন টুইটারে লিখেছেন— ‘‘বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োকে উত্তর কোরিয়া যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আমার মনে হয় না, ওখানে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে।’’ কিন্তু কেন আমেরিকাকে ‘শান্তির পথে’ হাঁটার কথা বলেছে উত্তর কোরিয়া, সে নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পিয়ংইয়্যাং অবশ্য গত রবিবারই সরকারি সংবাদপত্রে তাদের পাঠানো চিঠির কারণ ব্যাখ্যা করেছে। তাদের বক্তব্য, ‘‘আমেরিকা মুখে মিষ্টি কথা বলছে আর গোপনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘুঁটি সাজাচ্ছে।’’ ওই দৈনিকের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘আগ্রাসনের উদ্দেশ্য নিয়ে জাপানের মার্কিন সেনা ছাউনিতে মহড়া চলছে। আমেরিকার এই দু’মুখো নীতিকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারেই দেখছি। ওরা প্রকাশ্যে হাসিমুখে কথা বলছে, আর পিছনে সেনা মহড়া চালাতে ব্যস্ত। এমনকি মানুষ নিধনের জন্য বিশেষ দল গড়ছে ওরা।’’ জাপানের মার্কিন ছাউনির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, তারা ও-রকম কোনও সেনা মহড়ার কথা জানে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy