Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
International News

উইঘুর মুসলিমদের উপর নজরদারি! চিনের ২৮ সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা

ইস্তানবুলে চিনা দূতাবাসের সামনে উইঘুর জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ। ছবি: রয়টার্স

ইস্তানবুলে চিনা দূতাবাসের সামনে উইঘুর জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ১২:১১
Share: Save:

জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের উপর চিনের খবরদারি নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। এ বার কড়া পদক্ষেপ করল আমেরিকাও। জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ও তুর্কিভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারি চালানোর অভিযোগে চিনের ২৮টি সংস্থার উপর কার্যত কালো তালিকাভুক্ত করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটনের অনুমোদন ছাড়া ওই সংস্থাগুলি আমেরিকার কাছ থেকে পণ্য, পরিষেবা বা প্রযুক্তি কিনতে পারবে না।

সোমবার প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের একটি নথিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অত্যাচার’ চালায় ওই সংস্থাগুলি। সেই কারণেই এই ২৮টি সংস্থাকে ‘এনটিটি লিস্ট’ বা কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ, ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া মার্কিন কোনও সংস্থার কাছ থেকে এই চিনা সংস্থাগুলি কিছু কিনতে পারবে না। ওই নথিতে আরও বলা হয়েছে, এই সংগঠনগুলি চিনের দমন-পীড়ন নীতি, গণ ডিটেনশন এবং উইঘুর, কাজাকস্তানের মতো মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারিতে চিন সরকারকে সাহায্য করে।

চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের ৪৫ শতাংশ জনসংখ্যাই উইঘুর এবং তুর্কিভাষী মুসলিম। শি জিনফিং সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ওই সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে কার্যত ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আমেরিকা-সহ প্রায় গোটা বিশ্বই সরব। রাষ্ট্রপুঞ্জেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় একই অভিযোগ একাধিক মানবাধিকার সংগঠনেরও।

যদিও চিন সরকারি ভাবে সেই ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিকে নাম দিয়েছে ‘ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার’। উগ্রপন্থা রুখতে এবং এই জনগোষ্ঠীকে চিনা ভাষা ও সংস্কৃতিতে শিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি চালানো হয় বলে দাবি করে চিন।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে নীতি বদল করেছে সরকার, বললেন বায়ুসেনা প্রধান

আরও পডু়ন: গুগল দেখে কাস্টমার কেয়ারে ফোন, বহু অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লাখ লাখ টাকা!

কালো তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির মধ্যে ১৯টিই চিনের সরকারি সংস্থা। জিনজিয়াং প্রদেশের পাবলিক সার্ভিস ব্যুরো তার মধ্যে অন্যতম। বেসরকারি সংস্থার মধ্যে রয়েছে হিকভিশন, দাহুয়া টেকনোলজি, মেগভি টেকনোলজির মতো সংস্থা, যারা মূলত মুখাবয়ব থেকে ব্যক্তি চিহ্নিতকরণের কাজ করে। হিকভিশন বিশ্বের অন্যতম বড় নজরদারি প্রযুক্তি ও পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা।

চিন-আমেরিকার শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধ দীর্ঘদিনের। এই ২৮ সংস্থাকে কার্যত কালো তালিকাভুক্ত করে দেওয়ায় সেই সংঘাত নতুন মাত্রা নিতে পারে বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের।

অন্য বিষয়গুলি:

Uighur China US
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy