পেন্টাগনের রিপোর্টে দাবি, গত পাঁচ বছরে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ায় অন্তত ৫০ হাজার বিমানহানা চালিয়েছিল আমেরিকা।
১৯ জুলাই, ২০১৬। উত্তর সিরিয়ার একাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালিয়ে ৮৫ জন আইএস (ইসলামিক স্টেট) জঙ্গির মৃত্যুর দাবি করেছিল আমেরিকা। পরে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওই বিমানহানায় সিরিয়ায় অন্তত ১২০ জন কৃষক-সহ বহু গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।
নভেম্বর, ২০১৫। ইরাকের রামাদা। কাপড়ে মোড়া একটি ‘ভারী বস্তু’ টেনে নিয়ে যেতে দেখে এক ব্যক্তির উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের দাবি ছিল, আইএস ঘাঁটির দিকে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, ওই ‘ভারী বস্তুটি’ আসলে এক শিশুর মৃতদেহ। বিমানহানায় যার মৃত্যু হয়েছিল।
গোয়েন্দাদের ‘ভুল’ তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রকম কয়েক হাজার বার বিমানহানা চালিয়েছিল আমেরিকা। যে হামলায় শুধুই সাধারণ নাগরিকদের প্রাণ গিয়েছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগনের বহু রিপোর্টে গোয়েন্দাদের সেই সব ভুল তথ্যের উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে।
শুধু তাই নয়, ‘টাইমস’ পত্রিকার একাধিক প্রতিবেদনেও এর আগে দাবি করা হয়েছে, বিমানহানার ঘটনায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর হিসেবও ‘কমিয়ে’ দেখানো হয়েছে অন্তত কয়েক হাজার।
গত অগস্টে কাবুলে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের দাবি ছিল, বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাড়িতে। পরে জানা যায়, ওই হামলার শিকার হন একই পরিবারের ১০ সদস্য। তাঁদের মধ্যে এক শিশুও ছিল।
পেন্টাগনের রিপোর্টে দাবি, গত পাঁচ বছরে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ায় অন্তত ৫০ হাজার বিমান হানা চালিয়েছিল আমেরিকা। ওই হামলায় যে সব সাধারণ নাগরিকেরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে ঠিক ভাবে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আর্বান বলেন, ‘‘আমরা সব চেয়ে উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। তাও ভুল হয়েই থাকে। আমরা তো ভুল থেকে শিক্ষা নিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy