এই বস্তুটি ঘিরেই রহস্য দানা বেঁধেছে। ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্রসৈকতে কত কী-ই না পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাই বলে কিনা পেল্লায় চেহারার একটা বস্তু! তবে সেটা যে আদতে ঠিক কী, তা নিয়েই রীতিমতো ধন্দে পুলিশ-প্রশাসন। দৈত্যাকার চেহারার ধাতব বস্তুকে ঘিরে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এক সৈকতে। কোথা থেকে ভেসে এল ওই অজানা বস্তুটি? রহস্য আর কৌতূহল মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে সে দেশে।
দেখে মনে হবে যেন, জলের ট্যাঙ্কারের মতো গোলাকার জিনিস। যার উপরের দিকটি গম্বুজের মতো। বস্তুটির ধাতব শরীর চকচক করছে। ঠিক যেন পিতলের মতো। নীচের অংশটি খানিকটা এবড়োখেবড়ো। গ্রিন হেড সৈকতে এমনই এক বস্তুকে ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। ওই বস্তুটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। সোমবার বিবিসি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বস্তুটির রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।
বিশালাকার বস্তুটি ধাতব। গ্রিন হেড সৈকতের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বস্তুটি প্রায় আড়াই মিটার চওড়া। প্রায় আড়াই থেকে তিন মিটারের মতো লম্বা। শনিবার রাতে বস্তুটি দেখতে সৈকতে ভিড় জমান বাসিন্দারা। জড়ো হয়েছিল শিশুরাও।
ওই অজানা বস্তুটি নিয়ে নানা মুনির নানা মত। ছড়িয়েছে নানা জল্পনাও। বিমান বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে থমাস জানিয়েছেন, বস্তুটি সম্ভবত কোনও রকেটের জ্বালানির ট্যাঙ্ক। গত ১২ মাসে ভারত মহাসাগরের উপর কোনও রকেট ভেঙে পড়েছিল। তার ফলেই ওই বস্তুটি ভেসে এসেছে সৈকতে। অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, কোনও বিদেশি মহাকাশযান থেকে ওই দৈত্যাকার সিলিন্ডারটি পড়েছে।
২০১৪ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে ২৩৯ জন যাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল এমএইচ৩৭০ বিমান। সেই বিমানেরই সিলিন্ডার হয়ত ওই বস্তুটি। এমন দাবিও কেউ কেউ করেছেন। তবে বিমান বিশেষজ্ঞ থমাস এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তা হলে ওই বস্তুটি কী? এই রহস্য ভেদ করতেই এখন মগ্ন সে দেশের প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy