তালিবানি আগ্রাসনের নিন্দা রাষ্ট্রপুঞ্জের ফাইল চিত্র।
কাবুলের রাস্তায় পাকিস্তান ও আইএসআই বিরোধী মিছিলে গুলি চালানো ও মিছিলের খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদের আটক করে মারধরের ঘটনায় তালিবানের নিন্দা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর তালিবানি আগ্রাসনের এই ঘটনা মানবতার পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই মন্তব্য করেছে তারা।
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাই কমিশনার রবিনা শামদাসানি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গত চার সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে শান্তিপূর্ণ মিছিলে বল প্রয়োগ করেছে তালিবান। প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালিয়েছে তারা।’
রবিনা আরও বলেন, ‘অধিকারের দাবিতে কাবুলের রাস্তায় মিছিল করেছেন আফগান মহিলা ও পুরুষরা। মহিলাদের শিক্ষা ও কাজের অধিকারের দাবি তোলেন তাঁরা। সবার মন্তব্য শোনা উচিত। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করারও চেষ্টা হয়েছে। সংবাদিকদের মারধর করা হয়েছে। কাবুলের পরিস্থিতি যাতে সবার সামনে না আসে তার জন্য অনেক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তালিবানের এই আগ্রাসনের নিন্দা করছি।’
গত মঙ্গলবার কাবুলের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন আফগানরা। ‘স্বাধীনতা চাই’ থেকে শুরু করে ‘পাকিস্তান দূর হটো’, ‘আইএসআই দূর হটো’ প্রভৃতি স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। নেটমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিয়োতে এক আফগান মহিলাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পাকিস্তান বা তালিবান, পঞ্জশির দখল করার অধিকার কারও নেই। এই প্রতিবাদ চলবে। আমাদের স্বাধীনতা দিতেই হবে।’’ বেশ কিছুক্ষণ মিছিল হওয়ার পরে তা থামাতে শূন্যে গুলি চালানো শুরু করেন তালিব যোদ্ধারা। গুলির আঘাতে বেশ কয়েক জন হতাহত হন।
এই ঘটনার পরেই টুইটারে একটি ছবি প্রকাশ করেন নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিক শরিফ হাসান। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই সাংবাদিক মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পিঠ ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন। এই ছবি টুইট করে শরিফ লেখেন, ‘কাবুলে দুই সাংবাদিককে আটক করে বেধড়ক মারধর ও অত্যাচার করা হয়েছে।’ এই সব ঘটনারই নিন্দা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy