মোদী সরকারকে কড়া বার্তা আমেরিকার। —ফাইল চিত্র
ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য দিল্লিকে বার্তা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ ও ওয়াশিংটন। তারা জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে বিক্ষোভ চলছে, তার উপরে নজর রাখা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের মুখপাত্র শুক্রবার জানান, ভারতের নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার জেরে যা যা ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছে তারা। তাদের বক্তব্য, কিছু নৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের। তার মধ্যে অন্যতম মানবাধিকার। সেই মানবাধিকার যাতে কোনও ভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়, দিল্লিকে সে বিষয়ে জোর দিতে হবে।
ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে বাস করা অ-মুসলিম শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। অবৈধ ভাবে বসবাস করার জন্য আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত হবে না। কিন্তু মুসলিম শরণার্থীরা সেই সুবিধা পাবেন না। গুতেরেসের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘‘ভারতের সংসদে যে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত। প্রকাশ্যে যা চলছে, তা-ও আমরা জানি। এই নতুন আইনের পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’ তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতরের তদন্তকারী আধিকারিকদের অনেকে নয়া আইনটি নিয়ে তাঁদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর থেকে ভারত জুড়ে যা ঘটছে, আমরা তার উপরে কড়া নজর রাখছি। যে কোনও গণতন্ত্রের মৌলিক আদর্শ হওয়া উচিত ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আইনের চোখে সমান বিচার।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার মতে, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করা উচিত ভারতের।’’
শুরু থেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি অংশ। অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) পর দেশের সংখ্যালঘুদের নিশানা করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পুরনো আইন সংশোধন করে নতুন নাগরিকত্ব আইন এনেছে বলে দাবি তাদের। তা নিয়ে সপ্তাহের শুরুতেই মোদী-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে সরব হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। তাদের মতে, নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় মানদণ্ড বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy