পালাবদলের বাংলাদেশে এ বার বর্ষবরণের উৎসব ঘিরে নানা বিধিনিষেধ জারি করল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের পুলিশ। ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পালনের জন্য প্রসিদ্ধ কক্সবাজার, টেকনাফ-সহ বিভিন্ন সৈকতে প্রকাশ্যে গানবাজনার অনুষ্ঠান এবং আতশবাজির উপর প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে।
কক্সবাজারের জেলাশাসক মহম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের উপলক্ষে সৈকত পর্যটনকেন্দ্রগুলির কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা অন্য কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। সৈকতে আতশবাজি, পটকা ফাটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে কয়েকটি তারকা হোটেল কনসার্টের আয়োজন করছে। সেখানে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই ধর্মীয় কট্টরপন্থী দল ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র দাপট ক্রমশ বাড়ছে। ইউনূস সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের উপরেও ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করা জামাতের ‘প্রভাব’ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের অন্দরে। কক্সবাজার-টেকনাফ এলাকার বিচ রিসর্ট এবং হোটেলগুলিতে গত তিন দশক ধরেই জনপ্রিয় বর্ষবরণ উৎসব। দেশ-বিদেশের প্রায় দু’লক্ষ পর্যটক এই সময় সমবেত হন সেখানে। কিন্তু এ বার উৎসবের উপর পড়ল অন্তর্বর্তী সরকারের ‘কোপ’।