Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

৩৩টি প্রাণ কাড়ার পরে শক্তি হারাচ্ছে হাগিবিস

ফিলিপিন্সের তাগালগ ভাষায় ‘হাগিবিস’ শব্দের অর্থ ক্ষিপ্র গতি।

প্লাবিত: ডুবে গিয়েছে মধ্য জাপানে নাগানোর কাছে বুলেট ট্রেনের ইয়ার্ড। রবিবার। এপি

প্লাবিত: ডুবে গিয়েছে মধ্য জাপানে নাগানোর কাছে বুলেট ট্রেনের ইয়ার্ড। রবিবার। এপি

সংবাদ সংস্থা
টোকিয়ো শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪০
Share: Save:

টাইফুন হাগিবিসের দাপটে বিপর্যস্ত জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে নেমেছে ধস। পাড় ভেঙে জনবসতিতে ঢুকে পড়েছে নদী। এখনও পর্যন্ত হাগিবিসের বলি অন্তত ৩৩। জখমের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসেবে নিখোঁজ অন্তত ১৫।

ফিলিপিন্সের তাগালগ ভাষায় ‘হাগিবিস’ শব্দের অর্থ ক্ষিপ্র গতি। গত কাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আক্ষরিক অর্থে সে ভাবেই রাজধানী টোকিয়োর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজ়ু উপদ্বীপ সংলগ্ন হনসু দ্বীপের কাছে আছড়ে পড়ে হাগিবিস। ঝড়-বৃষ্টি সঙ্গে অন্তত ৪৮টি জায়গায় ধস নেমেছে। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে গিয়েছে চিকুমা-সহ ন’টি নদীর পাড়। গ্রেটার টোকিয়ো এলাকায় জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।

তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আজ সকাল থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করেছে হাগিবিস। কমছে হাওয়ার দাপট। আবহবিদদের দাবি, ক্রমশ শক্তিক্ষয় করে হাগিবিস নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সরতে শুরু করেছে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দিকে। কিন্তু মধ্য জাপানের নাগানোর অবস্থা এখনও গুরুতর। সেখানে বাড়ির দোতলাতেও পৌঁছে গিয়েছে জল। প্রায় ডুবে গিয়েছে নাগানোর কাছে বুলেট ট্রেনের ইয়ার্ড।

রবিবার মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব ইয়োশিহিদে সুগা জানান, হাগিবিসের দাপটে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অন্তত ১৪ হাজার বাড়িতে। জাপানের মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় আজ সকালেও ব্যাহত ছিল ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল পরিষেবা। ইচিয়ারা ও চিবা এলাকায় ৭০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাপান পুলিশের ১ লক্ষ ১০ হাজার জনের বাহিনী, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনী। ২৭ হাজার সেনা রওনা দিয়েছে নাগানো-সহ বিভিন্ন এলাকায়।

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদর দফতরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সেখানেই তিনি জানান, এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানো সবার আগে জরুরি। প্লাবিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও নিখোঁজদের খুঁজে বার করাই প্রথম কর্তব্য।

গুনমা, সাইতামা, ইবারাকি, মিয়াগি, নাগানো, ফুকুশিমা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বাধ্য হয়েই বেশ কয়েকটি বাঁধের জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে মোটের উপরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রেল পরিষেবা। আগামিকাল থেকে বিমানও চলতে পারে সময়মতো। হাগিবিসের জন্য গত কাল ও আজ রাগবি বিশ্বকাপের দু’টি খেলা বাতিল হয়ে যায়। তবে নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে ফর্মুলা ওয়ান রেস।

একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে দু’টি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এখন জাপানের উপকূলে রয়েছে। রবিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, এই জাহাজ দু’টি ও ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসারেরা জাপানকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

অন্য বিষয়গুলি:

Hagibis Typhoon Japan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy