—প্রতীকী ছবি।
ফের ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটল চিনে। এর আগে চিনের নানা প্রদেশে ছুরি হামলার শিকার হতে হয়েছে কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের। এ বার হামলা থেকে বাঁচলেন না হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও। আজ সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের ইউনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ছুরি হামলায় নিহত হয়েছেন দুই রোগী। আহতের সংখ্যা অন্তত ২১। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া নিহতের সংখ্যা ২ বললেও বেশ কিছু স্থানীয় সংবাদ পোর্টালের দাবি, নিহতের সংখ্যা অন্তত ১০। তবে এ নিয়ে মুখ খোলেননি স্থানীয়
প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা।
পুলিশ জানাচ্ছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ইউনান প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ঝ়েনশিয়ং কাউন্টির একটি হাসপাতালে আচমকা ছুরি নিয়ে ঢুকে পড়ে মধ্যবয়সি এক ব্যক্তি। তার এলোপাথাড়ি হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। আহতদের ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে। আহতেরা সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কি না, সেটাও স্পষ্ট জানায়নি পুলিশ। তবে পরে হামলাকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সে পোজি নামে একটি গ্রামের বাসিন্দা। বয়স চল্লিশের কোঠায়। পুলিশ ওই হামলাকারীর নাম প্রকাশ না করলেও ওই ব্যক্তির পদবি লি বলে জানা গিয়েছে। কী কারণে সে হাসপাতালে হামলা চালাল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
হামলাকারীকে যথেষ্ট নাটকীয় ভাবে আজ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দুপুরের দিকে আচমকাই এক ব্যক্তিকে ধরে মাটিতে শুইয়ে দেন উর্দিতে থাকা এক পুলিশ অফিসার। তার পরে তাকে ঘিরে ধরেন সাধারণ পোশাকে থাকা আরও কয়েক জন পুলিশকর্মী। হামলাকারী একটি দোকান থেকে পাঁউরুটি আর জলের বোতল কিনে ফিরছিল। সেই সময়ে তাকে পাকড়াও করা হয়।
ব্যক্তিগত হেফাজতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে প্রচুর কড়াকড়ি রয়েছে চিনের মতো দেশে। তাই এ দেশে ছুরি নিয়ে আক্রমণের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। গত বছর অগস্টে এই ইউনান প্রদেশেই এক ব্যক্তির ছুরি হামলায় নিহত হন দু’জন। আহত হন ৭ জন। ওই বছরের জুলাই মাসেই গুয়াংডং প্রদেশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ছুরির হামলায় মৃত্যু হয়েছিল তিন শিশু-সহ ৬ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy