তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মাস চারেক আগেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। ভারত তখনই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু নয়াদিল্লির আপত্তিকে আমল না দিয়ে আরও এক বার সেই একই প্রসঙ্গ তুললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান। এ বার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে।
দু’দিনের সফরে পাকিস্তান এসেছেন এর্ডোয়ান। আজ পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় সেনা অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন অধিবেশনে। সেখানেই তুরস্ক ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব নিয়ে কথা শুরু করেন এর্ডোয়ান। কথায় কথায় কাশ্মীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। এর্ডোয়ান বলেছেন, ‘‘আমি আশা করব পাকিস্তান ও তুরস্কের ভ্রাতৃত্ব চিরকালীন হয়ে থাকবে। রক্তের না হলেও আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক হল ভালবাসার বন্ধন।’’ এর পরেই ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীর’-এর প্রসঙ্গ তোলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘‘দ্বন্দ্ব আর অত্যাচার দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে না। একমাত্র সুবিচার আর সাম্যের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কাশ্মীর যতটা আপনাদের (পাকিস্তান) হৃদয়ের কাছের, ততটাই আমাদেরও।’’
এই প্রসঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে গালিপোলির যুদ্ধের কথা টেনেছেন এর্ডোয়ান। তুরস্কে মিত্র শক্তির সঙ্গে লড়াই বেধেছিল অটোমান রাজশক্তির। গালিপোলির যুদ্ধের সঙ্গে কাশ্মীরের পরিস্থিতির কোনও ফারাক নেই বলেও আজ উল্লেখ করেছেন এর্ডোয়ান। বক্তৃতায় আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সদর্থক ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন এর্ডোয়ান। জানিয়েছেন, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান যা করছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম যাতে বাদ পড়ে, সে চেষ্টাও তাঁর দেশ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর্ডোয়ানের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি নয়াদিল্লি। ভারত বরাবর আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে এসেছে। এ নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না বলেও বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি। গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জে এর্ডোয়ান এ নিয়ে কথা বলায় বিদশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছিলেন, পরবর্তী কালে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলার আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উচিত, কাশ্মীরের পরিস্থিতি ও বিষয়টির স্পর্শকাতরতা বোঝা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy