Advertisement
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
News Of The Day

কোন পথে বাংলাদেশ, ডিভিসির জল কোথায় গড়ায়, ওবিসি শংসা বাতিল মামলা, আর কী কী

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংরক্ষণের অনুপাত কমে যাওয়ার পর প্রথম দফার আন্দোলন থমকেছিল। কিন্তু ভিতরে ভিতরে পরিস্থিতি যে অশান্তই রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে শনিবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার আন্দোলনে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০৬:৫৪
Share: Save:

জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংরক্ষণের অনুপাত কমে যাওয়ার পর প্রথম দফার আন্দোলন থমকেছিল। কিন্তু ভিতরে ভিতরে পরিস্থিতি যে অশান্তই রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে শনিবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার আন্দোলনে। শনিবার এক জনের মৃত্যুও হয়। কিন্ত গতকাল, রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষোভ আর হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। হতাহতের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই পর্বে বিক্ষোভকারীদের একটিই দাবি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গদি ছাড়তে হবে।

হাসিনা কি পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন?

রবিবার সরকারের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল পরিস্থিতি। সন্ধে থেকে কার্ফু বলবৎ করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ গত কাল সকাল থেকেই। আজ থেকে তিন দিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। উল্টো দিকে আন্দোলনকারীদের তরফে বিভিন্ন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে, এই আন্দোলন চলবে, যত ক্ষণ না হাসিনা ইস্তফা দেন। কোনও কোনও তরফে ঢাকা অভিযানের ডাকও দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত সরকারও।

রাজ্যে ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

আজ রাজ্যের ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বেলা ১১টা নাগাদ মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। যথাযথ আইনি সার্টিফিকেট না বানানোর জন্য রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। আজ প্রথম বার ওই মামলাটি শুনানির জন্য উঠছে। সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয় সে দিকে নজর থাকবে।

ডিভিসির জল কত দূর গড়াবে? নজর রাখছে নবান্ন

একে বৃষ্টিতে রক্ষে নেই, দোসর ডিভিসির ছাড়া জল! বৃষ্টি কমলেও জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। কোথাও হাঁটুসমান জল, কোথাও আবার জল কোমর পর্যন্ত। অনেক নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামের মধ্যে। ভাসছে বাড়িঘর, চাষের জমি। শনির পর রবিবারেও একই ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূমের বোলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায়। ভারী বৃষ্টির কারণে শনিবার থেকেই জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। রবিবার সকালেও কয়েক দফায় লক্ষাধিক কিউসেক জল ছেড়েছে। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারাজে এসে জমা হয়। জলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় রবিবার সেখান থেকেও জল ছাড়া হয়। প্রশাসনের আশঙ্কা, এর জেরে আরও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা প্লাবিত হতে পারে। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়েও রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হয়েছে। নবান্নের অভিযোগ, আলোচনা না করেই জল ছাড়া হচ্ছে। দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটির সূত্র অবশ্য দাবি করেছে, রাজ্য সরকার ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষের যৌথ অনুমতি নিয়েই জল ছাড়া হচ্ছে। প্লাবন পরিস্থিতি নজরে রেখে রবিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেনুঘাট জলাধার থেকে যাতে বুঝেশুনে জল ছাড়া হয়, তার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গোটা পরিস্থিতির দিকেই নজর থাকবে আজ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ঝাড়খণ্ডে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি, দুশ্চিন্তা বাংলারও

মধ্যপ্রদেশের উপরে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং রাজস্থানের উপরে থাকা একটি নিম্নচাপের জের। এই দুইয়ের প্রভাবে আগামী দু’দিন দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি চললে অতিরিক্ত জল দামোদরের খাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। সে ক্ষেত্রে এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকা বানভাসি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক আবহাওয়া পরিস্থিতির দিকে নজর থাকবে।

উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে, দক্ষিণে বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতা

নিম্নচাপ সরে গেলেও ভারী বৃষ্টি থেকে এখনই মুক্তি নেই বাংলার। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী কয়েক দিনে বরং উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা বাড়বে। সোমবার উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা— উত্তর ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা—দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে জারি করা হয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই জেলাগুলিতে বিশেষ সতর্কতা থাকলেও সোমবার থেকে সপ্তাহভর রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ইস্তফাপত্র দেওয়ার কথা অখিল গিরির

অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। গতকাল অখিল জানিয়েছিলেন, রাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল করে ইস্তফাপত্র পাঠাবেন। আর আজ বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন। তাই বিধানসভায় অখিলের পদত্যাগ নিয়েও আগ্রহ সব মহলে। ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ দুপুরে বিধানসভায় তাঁর ঘরে বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র তুলে দিতে পারেন অখিল। আবার রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে মহিলা বন আধিকারিকের যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাও মুখ্যমন্ত্রীকে একটি রিপোর্ট তুলে দেবেন।

বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্য ভাগ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা

বিধানসভা অধিবেশন শেষ হচ্ছে আজ। অধিবেশনের শেষ দিনই উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা। কারণ শাসকদল তৃণমূলের তরফে আনা হয়েছে বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাব। মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই এই আলোচনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে পারে বিধানসভার অন্দরমহলে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও এই একই বিষয় নিয়ে প্রস্তাব এনেছিল শাসকদল। তার আগে ষোড়শ বিধানসভাতেও কংগ্রেস বিরোধী দল থাকাকালীনও এই প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল পরিষদীয় দল।

রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক

আজ বিধানসভার অধিবেশন শেষ হচ্ছে। প্রথমার্ধেই সেই অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তার পরে বিধানসভায় বন মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনের প্রথম দিকেও বিধানসভাতেই বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। শেষ দিনেও সেই বৈঠক হচ্ছে বিধানসভাতেই।

জীবনকৃষ্ণকে ইডির তলব, যাবেন কি?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার ইডির নজরে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। এর আগে এই মামলাতে তাঁর স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তারা। তার পরই জীবনকৃষ্ণকে ডেকে পাঠানো হল। নিয়োগ মামলাতে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও এখন জামিনে মুক্ত তিনি। সিবিআইয়ের মামলাতে জীবনকৃষ্ণ জামিন পাওয়ার পরেই ইডি তাঁর ‘বেআইনি লেনদেনে’র বিষয়ে তৎপর হয়। তাঁর ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। ফলে এই ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। সেই সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। এখন দেখার জীবনকৃষ্ণ আদৌ হাজিরা দেন কি না।

সংসদের অধিবেশনে কি জল থৈ থৈ-কাণ্ড উঠবে?

দু’দিনের বিরতির পর আজ থেকে সংসদে ফের শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। নতুন সংসদ ভবনের ছাদ থেকে চুঁইয়ে জল পড়া নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল বিরোধীরা। শনিবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যায় সংসদ ভবনের মেঝেতে বইছে ধারাস্রোত। সোমবার এই নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে সরব হতে পারে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ ‘ইন্ডিয়া’র দলগুলির আক্রমণ মোকাবিলায় শাসকজোট এনডিএ কী কৌশল নেয়, সে দিকে নজর থাকবে।

কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ নিয়ে বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠক

কলকাতার বিভিন্ন নাটকের দলের প্রধান এবং কর্মীদের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে আজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অনুদানের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই সরব হয়েছেন অনেক নাট্য ব্যক্তিত্ব। আজ বেলা ৩টেয় তাঁরা একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন কলকাতায়। সেই সাংবাদিক বৈঠকে নতুন করে কোনও আন্দোলনের ডাকও দেওয়া হতে পারে। বিভিন্ন নাট্য সংস্থার তরফে দলের সদস্যরা কলকাতা প্রেস ক্লাবে দুপুরে হাজির হবেন বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE