ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
দোষী সাব্যস্ত হলেও এখনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা হয়নি। এরই মধ্যে অবশ্য নেটমাধ্যমে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিল। অনেকেই কার্যত হুমকির স্বরে বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই ‘অবিচার’ চলতে থাকলে আগামী দিনে দাঙ্গা হতে পারে আমেরিকা জুড়ে।
ব্যবসায়িক নথি জাল করে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত কাল সাজা ঘোষণা হওয়ার পরে থেকেই ট্রাম্প নিজেকে ‘রাজনৈতিক বন্দি’ বলে দাবি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪ দফা মামলা করা হলেও ট্রাম্পের দাবি, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট শিবিরের চক্রান্তের শিকার। আজ ট্রাম্প টাওয়ারে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট একটি বক্তৃতায় বলেন, ‘যদি আমার সঙ্গে এমনটা করতে পারে, তা হলে বাকিদের সঙ্গেও একই জিনিস করতে পারে’। ৩৩ মিনিট দীর্ঘ ওই বক্তৃতায় তাঁর দাবি, ‘আমাদের দেশকে বাঁচাতে আমি সব কিছু
করতে রাজি।’
ট্রাম্পের সমর্থকেরা আজ হাজার হাজার পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমে। পোস্টগুলি মূলত করা হয়েছে ‘ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্ম, ‘প্যাট্রিয়ট্স.উইন’ এবং ‘গেটওয়ে পাণ্ডিত’ নামে তিনটি ট্রাম্প-পন্থী ওয়েবসাইটে। সব পোস্টেই ট্রাম্প-সমর্থকদের অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই রায় প্রমাণ করছে যে আমেরিকার বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কোনও পোস্টে কটাক্ষ করা হয়েছে বিচারক হুয়ান মেরচ্যানকে। প্যেট্রিয়ট্স.ইন-এ আবার এক ব্যক্তি লেখেন, ‘দশ লক্ষ মানুষের উচিত ওয়াশিংটনে গিয়ে সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া।’ কেউ মেরচ্যানকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘ভীষণ ভাবে বিতর্কিত’। অনেক ট্রাম্প সমর্থক অন্য একটি ওয়েবসাইটে জো বাইডেন ও তাঁর দলকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে’। কিছু পোস্টে দাঙ্গা, গৃহযুদ্ধের দাবিও করা হয় ‘পরিস্থিতি’ সামলাতে। আবার, সমাজমাধ্যমে আমেরিকার পতাকা উল্টো ভাবে টাঙিয়ে ছবি তুলেও পোস্ট করা হয়েছে রায়ের বিরোধিতায়।
প্রসঙ্গত, গত কাল প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে ট্রাম্প তহবিলে অনুদান জমা করার আর্জি জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আজ পর্যন্ত সেই তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ৫ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা।
এরই মাঝে এক্স হ্যান্ডলে একটি বার্তায় ইলন মাস্ক আজ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই একটি ‘টাউন হল’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। লাইভ ওই অনুষ্ঠানে তিনি এই মামলা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলেই জানিয়েছেন মাস্ক।
ট্রাম্প-মামলায় তাঁর সমর্থকদের এই প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য বাইডেন বলেছেন, ‘ট্রাম্পের সব রকম সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার’। এর পরেও কেন বারবার এই ভাবে ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা বাইডেন সরকারকে আক্রমণ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy