ছবি: সংগৃহীত
নাসার একটি পরীক্ষার কাজে তখন যোগ দিয়েছেন ২০ বছরের মার্গারেট লোভাট। ১৯৬০ সাল। সেই পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখতে চেয়েছিলেন, বুদ্ধিমান প্রাণী ডলফিন কী ভাবে সংযোগ তৈরি করে মানুষের সঙ্গে। সেই পরীক্ষার অন্যতম মাধ্যম ছিলেন মার্গারেট। তিনটি ডলফিনের সঙ্গে শুরু হয় মার্গারেটের যাত্রা। এদের নাম ছিল পিটার, পামেলা ও সিসি।
এদের মধ্যে সিসি একেবারেই যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী ছিল না। আর সিসি ছিল ভীতু। একমাত্র পিটার ছিল কমবয়সি এবং দুষ্টু। যে যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী ছিল প্রথম থেকেই। পিটার ও মার্গারেটের মধ্যে গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত সম্পর্ক। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই মার্গারেট বুঝতে পারেন, অন্য ডলফিনদের সঙ্গে বেশি সময় কাটালে রেগে যাচ্ছে পিটার।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্গারেট বলেছেন, ‘‘আমার আর পিটারের মধ্যে এক আশ্চর্য সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমরা দু’জনেই দু’জনের সঙ্গ উপভোগ করতাম। আমি হয়তো জলে পা ডুবিয়ে বসে আছি, ও কাছে আসত। আমাকে দেখত। আমার শরীরের দিকে ঠায় তাকিয়ে থাকত কিছু ক্ষণ। তার পর আমার পায়ের পিছন দিকটা দেখত। বুঝতে চাইত, কী ভাবে যৌন সম্পর্ক তৈরি করা যায়। তবে ওর দিক থেকেই এতে যৌন আনন্দ ছিল, আমি তেমন কিছু বুঝতে পারিনি।’’
এক সময়ে এই পরীক্ষা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা। সেই সময় থেকে পিটারের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ হয় মার্গারেটের। কয়েক দিন বাদে দেখা যায়, জলে ভাসছে পিটারের দেহ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আসলে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে পিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy