‘লোন উল্ফ’ জঙ্গি হামলা পিছু ছাড়ছে ইউরোপের। ব্রাসেলস হামলার বর্ষপূর্তির দিনই হামলা হল লন্ডনে। আর আজই বেলজিয়ামের বন্দর শহর অ্যান্টওয়ার্পে বহু মানুষকে গাড়িতে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করল এক ব্যক্তি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের মতে, ‘‘এটি জঙ্গি হামলারই চেষ্টা।’’
আজ সকাল এগোরোটা নাগাদ অ্যান্টওয়ার্পের প্রধান বাজার এলাকা দ্য ম্যের-এ হঠাৎই প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসে একটি গাড়ি। প্রথমে সেটি চোখে পড়ে এক দল সেনার। তাঁরা গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করলেও চালক গতি আরও বাড়িয়ে বন্দরের দিকে এগোয়। সেনারা খবর দেন পুলিশকে। সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ দল পাঠায় পুলিশ। তারা গাড়ি থামিয়ে চালককে বাগে আনে। গাড়ি থেকে ছুরি, বন্দুক ও একটি ক্যানে ভরা তরল পদার্থ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাড়িটি পরীক্ষা করতে একটি বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পাঠায় সেনা।
বেলজিয়াম পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চালকের নাম মহম্মদ আর। বয়স ৩৯। সে ফরাসি নাগরিক। ফলে তদন্তের জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ব্রাসেলস। দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য বেলজিয়ান পুলিশ ও সেনার প্রশংসা করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল।
গত বছর জাভেন্তেম বিমানবন্দর ও ব্রাসেলসের মেলবিক আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে হামলার স্মৃতি এখনও টাটকা বেলজিয়ামবাসীর মনে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গতকাল লন্ডন হামলার ঘটনা। গোয়েন্দাদের মতে, ‘লোন উল্ফ’ হামলা ঠেকানোর কাজ ক্রমশই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ, ইউরোপ জুড়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের উপরে নজরদারি চালানো অসম্ভব। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোনও কোনও ব্যক্তির উপরে নজরদারি চালালেও পরে তাদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নজর চলে যায় অন্য কারও উপর। অনেক সময়ে দেখা যায়, আগে যারা তালিকায় ছিল তারাই হামলা চালিয়েছে। ঠিক যেমন কাল লন্ডনে ঘটেছিল। দেশবাসীর উপরে নজরদারি বাড়ালে অনেক সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy